—প্রতীকী ছবি।
পলিটেকনিকে একাধিক সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার থানা। বৃহস্পতিবার, বারাসতের নোয়াপাড়া থেকে। ধৃতের নাম বিকা বিল্লা। তার বাড়ি বারাসতেই। শুক্রবার বিকাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই প্রশ্ন ফাঁসের পিছনে রয়েছে একটি চক্র। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, ২০২২-’২৩ শিক্ষাবর্ষে পলিটেকনিকের একাধিক সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে। পরীক্ষার্থীদের কাছে সেই উত্তরও পৌঁছে যাচ্ছিল। গত বছরের মার্চে তৃতীয় এবং পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। এর পরেই কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই থানাগুলির মধ্যে বিধাননগর সাইবার থানাও ছিল। সেই তদন্ত চলাকালীনই গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঘটনার তদন্তভার পায় সিআইডির সাইবার থানা।
প্রাথমিক তদন্তের পরে সিআইডি জানতে পারে, প্রশ্ন ফাঁসের পরে তার উত্তর সমাজমাধ্যমের গ্রুপে পৌছে যাচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা তা দেখেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পুলিশকে ফাঁকি দিতে প্রশ্ন ফাঁস এবং উত্তরের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল টেলিগ্রাম অ্যাপ। সিআইডির দাবি, ধৃত বিকা-র কাজ ছিল প্রশ্ন পাওয়ার পরে তার উত্তর বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করা। এর জন্য পরীক্ষার্থীদের টেলিগ্রাম অ্যাপ গ্রুপের সদস্য করা হত। অভিযোগ, তার জন্য কারও থেকে ৫০০ টাকা, কারও থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হত।
এক তদন্তকারী জানান, কোন কেন্দ্র থেকে, কারা বিভিন্ন সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ধৃত বিকা-র একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তার মাধ্যমে পরীক্ষাথীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy