ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণার ঘটনায় সুবিচার এবং টাকা ফেরতের দাবি আদায়ের জন্য একজোট হয়ে আন্দোনের ডাক উঠে এল আমানতকারীদের সমাবেশ থেকে। প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টদের নিয়ে আন্দোলরত বিভিন্ন কমিটি একত্র হয়ে গড়ে উঠেছে যৌথ মঞ্চ ‘চিট ফান্ড সাফারার্স ইউনাইটেড ফোরাম’। ওই মঞ্চের আয়োজনেই সোমবার ধর্মতলায় সমাবেশ থেকে জোটবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্যেরা। পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে দাবি জানাতে গিয়েছিলেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
আদালত ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ উদঘাটনের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও আমানততকারীরা যে এখনও টাকা ফেরত পাননি এবং সব অভিযুক্তও ধরা পড়েননি, সেই কথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মান্নান বলেন, ‘‘চিট ফান্ডের তদন্ত ও শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রভাবশালীরা একজোট হয়ে গিয়েছেন। তা হলে প্রতারিতেরা কেন জোট বাঁধতে পারবেন না? একজোট হয়েই লড়াই করে দাবি আদায় করতে হবে।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘চিট ফান্ডের নেপথ্যে কারা আছে, সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। এক দল ডেলো পাহাড়ে বৈঠক করেছে, অন্য আর একটা দল সিবিআই তদন্তের গতি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরা ছাড়া আর বাকি সকলেই প্রতারিত মানুষের সঙ্গে আছে।’’ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় এবং রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য মনে করেন, অর্থলগ্নি সংস্থার বেশির ভাগ তদন্তই হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। এই বিষয়ে কারও কিছু বলার থাকলে ফের আদালতে গিয়েই বলা উচিত।