প্রতীকী ছবি।
চলন্ত ট্রেনের দরজা থেকে নীচে পড়ে জখম হল বছর দেড়েকের শিশুকন্যা। শুক্রবার রাতে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোড স্টেশনের কাছে শিশুটিকে উদ্ধার করে আরপিএফ। তাকে কলকাতার একবালপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তৃষিকা চৌধুরী নামে ওই শিশুটির পরিবার সূত্রের দাবি, দুই সন্তানকে নিয়ে লোকাল ট্রেনের দরজার সামনের আসনে বসেছিলেন তার মা। আচমকা তৃষিকা তাঁর হাত ছেড়ে দরজার কাছে চলে যায়। সেই সময়ে ট্রেনের ঝাঁকুনিতে সে বাইরে পড়ে যায়। তবে আরপিএফের দাবি, যাত্রীদের একাংশ তাদের জানিয়েছেন, শিশুটির পরিজন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁদের নজর এড়িয়ে খেলতে-খেলতে দরজার কাছে চলে যায় তৃষিকা। যদিও শিশুটির পরিবার সে কথা মানেনি। রেল পুলিশের সুপার (হাওড়া) কে কারনান বলেন, ‘‘শিশুটি ভাল আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কী ভাবে সে পড়ে গেল, তা জানার জন্য শিশুটির পরিজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’
হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা বিজয় চৌধুরী জানান, পরিবারকে নিয়ে রাজস্থান বেড়াতে যাওয়ার জন্য বর্ধমান স্টেশন থেকে গভীর রাতে ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁদের। তিনি কিছুটা আগেই বর্ধমানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী বছর সাতেকের ছেলে ও একরত্তি মেয়েকে নিয়ে বর্ধমানে পৌঁছনোর জন্য সন্ধ্যায় লিলুয়া থেকে ট্রেন ধরেন। ট্রেনটি পাল্লা রোড স্টেশন ছাড়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
আরপিএফ সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ট্রেনের গার্ড মারফত খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু হয়। রেললাইনের পাশে ঝোপে অচেতন অবস্থায় শিশুটির খোঁজ মেলে। স্টেশনে নিয়ে গিয়ে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা হলে সে কেঁদে ওঠে। বিজয়বাবু জানান, তাঁর স্ত্রী পরের স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে পাল্লা রোডে পৌঁছন। খবর পেয়ে তিনিও বর্ধমান থেকে ট্রেনে ঘটনাস্থলে যান। তৃষিকাকে সেখান থেকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরে কলকাতায় পাঠানো হয়।
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির নানা পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। বিজয়বাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যা আঘাত রয়েছে, সবই শরীরের বাইরের দিকে।’’ তাঁর দাবি, দু’-এক দিনের মধ্যে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy