মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। —ফাইল ছবি।
রাজ্যের অন্তত পাঁচটি দফতর ও কিছু সরকারি সংস্থার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা— এই তথ্য সামনে আসার পরেই সম্প্রতি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছিল বলে নবান্ন সূত্রের খবর। তার পরেই, গত ২ জুলাই মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা নির্দেশিকা (পিও/ও/সি-VI/৩এম-০১/২০২৪) জারি করে প্রতিটি দফতরকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলেছেন। তবে সেই নির্দেশিকায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গ নেই। রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় কেন প্রয়োজন, তার ব্যাখ্যা।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ, প্রয়োজন না পড়লে, বিশেষ করে টিফিনের সময়ে ফ্যান ও আলো বন্ধ রাখতে হবে। ব্যবহার না হলে বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। জানলার পাশে এবং অন্য জায়গা থেকে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুতের আলো সরিয়ে ফেলতে হবে। জানলা দিয়ে বাতাস চলাচল বাধামুক্ত রাখতে হবে, যাতে ফ্যানের ব্যবহার কমানো যায়। দিনের বেলায় যতটা সম্ভব সূর্যের আলোয় কাজ করতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে কম্পিউটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। টিউবলাইটে ব্যবহার করতে হবে ‘ইলেকট্রনিক চোখ’। বাড়াতে হবে এলইডি আলোর ব্যবহার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখতে হবে। আলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ‘মোশন সেন্সর লাইট’ বসানো যেতে পারে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পথবাতি জ্বলবে। এর জন্য ‘অটো টাইমার সিস্টেম’ ব্যবহার করতে হবে। সরকারি ভবনগুলির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোয় উৎসাহ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে।
এই সব নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না তা দেখতে প্রতিটি প্রশাসনিক ভবনের জন্য এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছেন মুখ্যসচিব। বিদ্যুৎ দফতর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় লক্ষ্য হলেও প্রশাসনিক ভবনগুলির নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে দিকেও নজর থাকবে প্রশাসনের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভবনগুলির সিঁড়িতে যাতে পর্যাপ্ত আলো থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সিসি টিভি ঘরের আলো বন্ধ রাখা যাবে না। ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ আলোকিত রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy