ওয়েবকুপার প্রকাশ্য সভায় শিক্ষামন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো শিক্ষাকর্মী তথা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি সেই বিনয় সিংহের আবাসনে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক গোলমালের ঘটনার পরে উঠে এসেছে। শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপ্রাঙ্গণে বিনয়ের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় আহত প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের নামই সবার আগে রয়েছে অভিযুক্ত হিসাবে। কিন্তু ঠিক কখন সেই হামলা ঘটল, তা নিয়েই বিভ্রান্তি রয়েছে।
সোমবার ওই হামলার বিষয়ে বিনয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ জানাননি। বিনয় বলেন, ‘‘আমি তো অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছি। ফিরে শুনি কেউ সন্ধ্যায় চড়াও হয়ে এসে হুমকি দিয়েছিল।’’ প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ভাঙচুরের অভিযোগ কেন লেখা হল? সন্ধ্যার সেই হামলায় অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজের নাম থাকা নিয়েও সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাজ্জব। কারণ, বিকেলেই মন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় ওই তরুণ ছাত্র আহত হয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে। তিনি তখন যাদবপুরের কাছেই হাসপাতালে।
বিনয়ের তরফে লেখা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অবশ্য জানাচ্ছে, বিনয়ের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় বিকেল তিনটে। অভিযোগের তির, ইন্দ্রানুজ-সহ কয়েক জন ছাত্রের দিকেই। শনিবার সন্ধ্যায় যাদবপুরের শিক্ষাঙ্গনে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির দফতরের ছাত্রদের হাতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। রাতে ওই দফতর পোড়ানোও হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু বিনয়ের বাড়িতে চড়াও হওয়ার কথা তখন জানা যায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগের পিছনে কয়েকটি গলিঘুঁজির পাশে বিনয়ের আবাসন। ওপেন এয়ার থিয়েটারে ব্রাত্য বসু যেখানে ওয়েবকুপার সভায় গিয়েছিলেন, তা বিনয়ের আবাসন থেকে অনেকটাই দূরে। প্রশ্ন উঠছে, বিকেল তিনটেয় সরগরম সভাস্থল ছেড়ে বিক্ষোভরত কোনও ছাত্র কেন অতটা দূরে বিনয়ের বাড়িতে হামলা চালাতে যাবে। বিনয়ের পরিবার তিন পুরুষ ধরে যাদবপুরের শিক্ষাকর্মী। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি যাদবপুরে কর্মরত। এ দিন বিকেলে বিনয়ের বাড়িতে গেলে তাঁর মা স্পষ্ট জানান, তাঁদের বাড়িতে এসে কেউ হুমকি দেননি বা ভাঙচুর করেননি। স্থানীয় প্রতিবেশী কয়েক জনও জানান, যাদবপুরে যে গোলমালই হোক, ওই তল্লাটে কিছু ঘটেনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের অভিযোগ, যাদবপুরের সদ্য সংঘটিত সমবায়ের ভোটে শিক্ষাবন্ধুরা ৩২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সেই রাগেই বামভাবাপন্ন ছাত্রেরা বিনয়ের বাড়িতে এবং ইউনিয়ন দফতরের হামলা চালান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)