Advertisement
E-Paper

যাদবপুরে ছাত্রদের হামলায় বিকেলে জখম শিক্ষামন্ত্রী, রাতে হেনস্থা উপাচার্যকেও, ধর্মঘট ডাকল সেই ছাত্ররাই

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ওয়েবকুপার সদস্যদের। অভিযোগ, যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশকে লাঠি হাতে তাড়া করেন বাম এবং অতি বাম সংগঠনের কয়েক জন পড়ুয়া।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ২২:৩০
Share
Save

তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে শনিবার উত্তপ্ত হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটার (ওএটি)-এ শনিবার ছিল সেই সম্মেলন। তাকে ঘিরেই দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হল বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যাদবপুরে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠল। ‘আক্রান্ত’ হয়েছে অভিযোগ তুলে প্রথমে অবস্থান, পরে সোমবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ধর্মঘটের ডাক দিল এসএফআই। ভাঙচুরে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পাল্টা বিক্ষোভে বসে তৃণমূল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল র‌্যাফও। রাতে আহত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ, সেখানেই কয়েক জন ছাত্রী তাঁর উপর চড়াও হন এবং তাঁর পরনের পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তজনা ছড়ায়।

শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরে ‘গোব্যাক’ স্লোগানও দেন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফের সদস্যেরা। সম্মেলনে বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। সেই সম্মেলন শেষ হওয়ার পরে ওএটি থেকে বার হতেই ব্রাত্যকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে শুরু করেন বামপন্থী, অতি বামপন্থী সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁর গাড়ির টায়ার পাংচার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির পাশাপাশি তাঁর পাইলট কারেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। আহত হন ব্রাত্য। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীকে।

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের পাল্টা অভিযোগ, মন্ত্রীর গাড়ি এক ছাত্রকে চাপা দিয়েছে। তিনি আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতেও জড়ান বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, তাতে আহত হন এক পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে তাড়া করার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে রক্ষা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরেই ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে বিক্ষোভের আঁচ পড়ে যাদবপুরে। থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে এসএফআই। পাল্টা শনিবার সন্ধ্যায় সুকান্ত সেতু থেকে মিছিল শুরু করে তৃণমূল। যাদবপুরে মুখোমুখি হয় দুই পক্ষ। তাতে বৃদ্ধি পায় উত্তেজনা। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুরে অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে থানায় অবস্থান শুরু করে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, যারা অধ্যাপকের গায়ে হাত দেয়, তারা ছাত্র নয়, ‘গুন্ডা’। এক মিনিট লাগবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে। কিন্তু তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই সে কাজ করা হবে না বলেই জানান মন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে এসএফআই সোমবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা বিবৃতি দিয়ে ঘটনার ‘নিন্দা’ করেছে।

আক্রান্ত যাদবপুরের উপাচার্যও

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর আহতদের দেখতে কেপিসি হাসপাতালে গিয়েছিলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে কয়েক জন হেনস্থা করেন। তাঁর পাঞ্জাবিও টানাটানিতে ছেঁড়া হয়েছে। এই নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘‘আমাকে দেখে হঠাৎ এক দল ছাত্রী তেড়ে আসে এবং আমাকে ধাক্কা মারে। কয়েকজন ছাত্রী আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়।’’ তিনি আরও জানান, ওই ঘটনার সময় হাসপাতালে বেশ কয়েক জন ছাত্রও ছিলেন। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে দেন। উপাচার্যের কথায়, ‘‘আমার গাড়ির সামনে অনেক ছাত্র চলে আসে। কোন‌ও রকমে আমি ওখান থেকে বেরিয়ে যাই। পড়ুয়াদের এই ঘটনায় আমি হতবাক।’’

বামপন্থীদের দাবি

২০২০ সালে শেষ বার ছাত্র সংসদের ভোট হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে সেই ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি। শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওএটি-তে। সম্মেলনস্থলের বাইরে ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এসএফআই। সঙ্গে ছিল অতি বামপন্থী সংগঠনগুলিও। সেখানে ভোটের দাবিতে পোস্টার, হোর্ডিং টাঙায় তারা। অভিযোগ, সেই হোর্ডিং সরিয়ে নিতে তাদের বাধ্য করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এসএফআইয়ের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ভোটের দাবিতেই স্মারকলিপি জমা দিতে চেয়েছিলেন তাদের সদস্যেরা। সেই সময়েই ‘আক্রান্ত’ হয়েছেন তাঁরা।

মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে স্লোগান দিতে থাকেন বামপন্থী, অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। ব্রাত্যকে ‘গোব্যাক’ স্লোগানও দেন। এর পরে সম্মেলনে ব্রাত্য বিক্ষোভকারীদের একহাত নেন। সেখান থেকে বার হওয়ার পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির টায়ার ‘পাংচার’ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির কাচ লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। তাতে ভেঙে গিয়েছে সামনের কাচ। মন্ত্রীর গাড়ির সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারেও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ব্রাত্য জানান, তিনি আহত হয়েছেন। পাশাপাশি বলেন, “এই গুন্ডামি চলতে পারে না। পড়ুয়াদের চার জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু সবাই মিলে গুন্ডামি করলে মুশকিল। তবে আমি কোনও প্ররোচনায় পা দেব না। যাঁরা এগুলি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপাচার্য পদক্ষেপ করবেন।” তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “এটা যদি উত্তরপ্রদেশে হত, কোন‌ও ছাত্র সংগঠন এই কাজ করতে পারত? আজকের যে ঘটনা, আমরা চাইলেই পুলিশ ডাকতে পারতম। কিন্তু আমি বারণ করেছি, শিক্ষাঙ্গনে যেন এক জনও পুলিশ না প্রবেশ করে।” এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা অধ্যাপকদের উপর আক্রমণ করছেন, তাঁরা শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে ক’টা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন? তাঁরা তৃণমূলের অধ্যাপকদের উপর আঘাত করতে চান, কিন্তু বিজেপির ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চুপ থাকেন।

অধ্যাপকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওয়েবকুপার সদস্য অধ্যাপকেরাও। এক সময় প্রতিবাদী পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ওয়েবকুপার সদস্যদের। যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশকে লাঠি হাতে তাড়া করেন বাম এবং অতি বাম সংগঠনের কয়েক জন পড়ুয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধস্তাধস্তির মধ্যে এক পড়ুয়ার মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন দুই অধ্যাপক। এক মহিলা অধ্যাপকের শাড়ি ছেঁড়ার অভিযোগও উঠেছে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।

অবরোধ, ধর্মঘটের ডাক

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের দাবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হয়েছেন তাদের সদস্যেরা, এমন অভিযোগই এসএফআই। প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় ৮বি মোড়ে অবরোধে বসেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। পরে যাদবপুর থানার সামনেও অবরোধে বসে এসএফআই। সেই অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করতে জেনারেল বডি (জিবি)-র বৈঠকে বসেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। আগামী সোমবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। তারা দাবি করেছে, তৃণমূলের ‘শিক্ষক-বেশী গুন্ডারা’ ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে ছাত্রছাত্রীদের গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। এক ছাত্রনেতা দাবি করে বলেন, ‘‘এর শেষ দেখে ছাড়ব।’’ এসএফআই বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা করেছে।

জুটার বিবৃতি

এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে রাজ্যের শাসকদলের ‘নিন্দা’ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটাটা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলেরই রয়েছে। কিন্তু তা যদি অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে, মর্যাদা না দেয়, তা ‘বিপজ্জনক’। তার পরেই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গায়ের জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট, কোর্ট-কাউন্সিল নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের দাবি জানাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দানুজের উপর মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

তৃণমূলের মিছিল

যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, তৃণমূলের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। যাদবপুরে তৃণমূলের মিছিলের উল্টো দিকে হঠাৎই হাজির হন এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান চলতে থাকে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র‌্যাফও। এর পরেই যাদবপুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূল। তাদের দাবি, মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের ধরা না-হলে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। অরূপ বলেন, ‘‘যারা অধ্যাপকের গায়ে হাত দেয়, তারা ছাত্র নয়, গুন্ডা। এক মিনিট লাগবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে এ রকম চাই না। মাও-মাকুদের বলতে চাই, অশান্ত কোরো না।’’ তিনি আরও জানান, তাঁদের এই প্রতিবাদ চলছে, চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই লড়াই চলবে। তাঁর কথায়, ‘‘এরা নিজেদের কী করে ছাত্র বলে দাবি করে, যারা গণতন্ত্র মানে না! এরা তৃণমূলকে ভয় পায়।’’

(এই প্রতিবেদনে ঘটনার নিন্দা করে ওয়েবকুপা বিবৃতি দিয়েছে বলে প্রথমে লেখা হয়েছিল। যদিও ওই বিবৃতি ওয়েবকুপার ছিল না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফে ওই বিবৃতি দেওয়া হয়। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)

Jadavpur University Bratya Basu SFI TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}