এই দুষ্কৃতীরাই লাঠি হাতে হামলা চালায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
কোভিড হাসপাতালের বিরোধিতা করে সাগর দত্ত হাসপাতালের সুপারের কাছে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। তাঁদের দাবি ছিল, কোভিড হাসপাতাল হওয়ার ফলে অন্য রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। আর সেই প্রতিবাদ ঘিরেই ধুন্ধুমার কামারহাটি এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ রইল বিটি রোড। একদিকে বাস কম, তার সঙ্গে অবরোধ, সব মিলিয়ে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।
সাগর দত্ত হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিরোধিতা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তার মধ্যেই কোভিড হাসপাতাল না করার দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিও করেন ওই হাসপাতালের ইন্টার্নরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয় কিছু বাসিন্দা হাতে পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুপারের কাছে প্রতিবাদ জানাতে যান। অভিযোগ, সেই সময়কয়েকজন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে এসে পথ আটকান ওই স্থানীয়দের। এর পর শুরু হয় বচসা।প্রতিবাদীদের অভিযোগ, তারপরেই ওই লাঠি হাতে থাকা যুবকরা হামলা চালায় স্থানীয়দের উপর।
প্রতিবাদীরাআরও অভিযোগ তুলেছেন, লাঠি হাতে যাঁরা হামলা চালিয়েছেনতাঁরা তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও গোটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংশ্রব নেই বলে দাবি কামারহাটি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের। হামলার প্রতিবাদে স্থানীয়দের একাংশ পাল্টা সাগর দত্ত হাসপাতালের কাছে থাকা তৃণমূলের কার্যালয়ে ইট-পাথর ছোড়া শুরু করেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে বিটি রোড অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কথা না শুনেইঅবরোধকারীদের উপর লাঠি চালায়। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় বন্ধ থাকে বিটি রোড। ফলে গোটা বিটি রোডে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক যানজট।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে সোমবার বিকেলে যানজট।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: ৫ তলা থেকে দুই শিশুকে ছুড়ে ফেলল প্রতিবেশী, ঘটনা বড়বাজারের
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে যানজট-অবরোধ সব কিছু মিলিয়ে ভোগান্তির মুখে পড়েন অফিসযাত্রীরা। তবে শুধু বিটি রোড নয়। এ দিন যানজট ছিল শহরের বিভিন্ন রাস্তায়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতেও সোমবার গোটা দিন যানের গতি ছিল বেশ মন্থর। একই রকম ভাবে ইএম বাইপাসের কিছু অংশ এবং আলিপুর রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, জেমস লং সরণি থেকে শুরু করে পার্ক সার্কাস কানেক্টর, রুবি কানেক্টরেও যান চলাচলের গতি মসৃণ ছিল না। ট্রাফিক পুলিশের কর্মী এবং আধিকারিকদের দাবি, সপ্তাদের প্রথম কাজের দিন শহরের রাস্তায় ছোট গাড়ি এবং মোটর বাইক-স্কুটারের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় যানের গতি মসৃণ রাখা সম্ভব হয়নি। ছোট গাড়ি, বাইকের সঙ্গে সাইকেলের ভিড়ও যানজটের একটা অন্যতম কারণ বলে দাবি ট্রাফিক পুলিশের।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত, গড়িয়া শ্মশানকাণ্ড নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল
এ দিন বিকেলেও, শহর থেকে বেরনোর রাস্তায় একই রকম যানজট দেখা যায়। পুলিশের হিসাবে বিকেল চারটে থেকেই গাড়ির সংখ্যা ফের বাড়তে থাকে। বিকেল ৫ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অফিস ফেরত মানুষদের গাড়ির চাপে গতি হারায় শহরের প্রধান রাস্তাগুলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy