গত ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথগ্রহণ করিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ খনখড়। ফাইল চিত্র
শেষ পর্যন্ত রাজভবন-বিধানসভার দ্বন্দ্ব কাটিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বিধায়ক পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবন থেকে টুইট করে জানানো হয়, ৭ অক্টোবর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিধানসভায় এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু সন্ধ্যায় রাজভবন থেকেই টুইট করে শপথগ্রহণের সময় পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। বিধানসভাতেও মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের প্রস্তুতি সে ভাবেই করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে বিস্তর টানাপড়েন চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে। মমতার শপথ কোথায় হবে, রাজভবনে না বিধানসভায়, শপথবাক্যই বা কে পাঠ করাবেন, রাজ্যপাল না অধ্যক্ষ, এ সব নিয়ে জল্পনা চলছিল। গুঞ্জন ছিল, রাজভবনে মমতার শপথের অনুষ্ঠান হলে সেখানে উপস্থিত না-ও থাকতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আপাতত ধনখড়ের টুইটে সেই জল্পনার অবসান। তবে একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট হল, মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপালই, স্পিকার নন। শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানটি হবে বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে। কারণ, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এত দিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, দশকের পর দশক ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন। সেই অধিকারই আইন বলে ফিরিয়ে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। আর তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী-সহ জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জের সদ্য জয়ী বিধায়ক জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল নিজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy