নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে (বাঁ দিক থেকে) ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং ব্রাত্য বসু। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে বুধবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তার অব্যবহিত পরেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও বন্ধ মানা হবে না। আলাপনের পর মমতা মন্ত্রিসভার চার সদস্য আরও একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তি পাকানোর পর বুধবার বন্ধের নামে আরও একটি অরাজকতা তৈরির ছক কষেছে বিজেপি।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন। ব্রাত্য বলেন, ‘‘ওরা বিচার চায় না। লাশ চায়। তাই সিবিআইয়ের উপর চাপ না দিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। এখন তো সিবিআই তদন্ত করছে। মিছিল তো সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’’ মঙ্গলবার ‘ছাত্র সমাজ’ আহূত ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে হাওড়া এবং কলকাতার একাধিক জায়গায় পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘ওরা একটা লাশ চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও প্ররোচনায় পা দেয়নি। ধৈর্য্যের সঙ্গে সবটা মোকাবিলা করেছে।’’ বুধবার জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।
মঙ্গলবারের ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে একাধিক পুলিশকর্মী রক্তাক্ত হয়েছেন। হাওড়ায় রক্তাক্ত হয়েছেন চণ্ডীতলার সিআই-ও। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের যোগদান ছিল না। পুজোর আগে যখন বেচাকেনা শুরু হয়েছে, অর্থনীতি পুষ্ট হচ্ছে, তখন বন্ধ ডেকে তার উপর আঘাত নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর যে ভাবে আক্রমণ নামিয়ে এনেছিল তা নিন্দনীয়। আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং পুলিশ যে অবিচার চালিয়েছে তার প্রতিবাদে বুধবারের বন্ধ ডাকা হয়েছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, মঙ্গলবার ১৩২ জন জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন মহিলা। এঁদের মধ্যে ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলেও দাবি শুভেন্দুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy