প্রতীকী ছবি।
কয়েক বছর ধরে শীতের পরেই তীব্র দহন বসন্ত নামক ঋতুটির অস্তিত্বকে প্রায় উপেক্ষা করে আসছিল। বসন্ত স্থায়ী ভাবেই ঋতুচক্র থেকে বিদায় নিতে চলেছে কি না, জোরদার হচ্ছিল সেই প্রশ্ন। এ বারের ফাল্গুন সব জল্পনায় আক্ষরিক অর্থেই জল ঢেলে দিয়ে জানান দিচ্ছে, বসন্ত আছে বহাল তবিয়তেই। উপরন্তু তার সঙ্গে বর্ষণের সঙ্গত চলছে সমান তালে। সেই ছন্দ বজায় রেখেই বসন্তে আবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার ও কাল, শুক্রবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হাতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, রাজস্থান থেকে ছত্তীসগঢ় পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকে মেঘ তৈরি করছে। তার প্রভাব পড়ছে গাঙ্গেয় বঙ্গেও। বুধবার বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। এ দিন দুপুরের পর থেকে কলকাতার আকাশও ছিল মেঘলা।
আবহবিদেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই এ বার বসন্তের প্রভাব মালুম হয়েছে। দোলেও শিরশিরে ঠান্ডা ছিল। কলকাতার তুলনায় জেলায় বসন্তের উপস্থিতি মালুম হয়েছে বেশি। ‘‘এ বার ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা বাড়বে,’’ বলছেন গণেশবাবু। হাওয়া অফিসের খবর, এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি, পানাগড়ে ১৭, আসানসোল ও বর্ধমানে ১৮ ডিগ্রি। তরাই-ডুয়ার্সেও রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছেপিঠে রয়েছে। খাস কলকাতায় অনেকেই রাতে পাখা চালাচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা কিন্তু সতর্ক করে দিচ্ছেন, ঋতু বদলের সময় তাপমাত্রার হেরফেরে চট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গরম লাগলেও চট করে ফুল স্পিডে ফ্যান বা এসি চালানো উচিত নয়। গভীর রাতে বা ভোরে হাল্কা চাদর জাতীয় কিছু ব্যবহার করা উচিত। বেশি ঠান্ডা বা ফ্রিজের খাবার এড়ানো দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy