বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আমপান-পরবর্তী সময়ে সিইএসসি-র বাড়তি বিদ্যুতের বিল কিস্তিতে মেটানো যাবে বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমপান-পরবর্তী সময়ে বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অনেকের বেশি বেশি বিল এসেছিল। ৯৯ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত গরিব যাঁরা বিল দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের কিস্তির মাধ্যমে বিল মেটানোর কথা বলা হয়েছে।’’
তবে সিইএসসি এখনও পর্যন্ত বাড়তি বিলের টাকা নেয়নি। এরপরে তারা বাড়তি টাকা নিলে নেওয়ার কথা বললে, তখন কী ভাবে ওই টাকা নেওয়া হবে, তা নিয়ে সিইএসসি-র সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানান শোভনদেব। আমপান পরবর্তী সময়ে শহর কলকাতা-সহ লাগোয়া এলাকায় প্রবল বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। বহুদিন ধরে গ্রাহকরা বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন। পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সিইএসসি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ ধূমায়িত হয়েছিল শহরজুড়ে। তার উপরেও প্রচুর গ্রাহকের বাড়িতে বাড়তি বিল পাঠায় সিইএসসি। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয় সিইএসসি-র।
শেষপর্যন্ত রাজ্য সরকারের ‘চাপে’ই বাড়তি টাকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে বিদ্যুৎবন্টন সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে শোভনদেবের বক্তব্য, ‘‘বাড়তি বিল নিয়ে আমি বলার পরেই ব্যাপক আন্দোলনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপরেই সিইএসসি পিছু হঠে।’’ এরপরও যদি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাটি গ্রাহকদের থেকে ওই বাড়তি বিল দাবি করে, তখন রাজ্য সরকার আবার তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ করোনা টিকা পাবেন কী ভাবে? নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: বিজেপি যখন অফিস ভাঙছিল, কোথায় ছিলেন ববি: জিতেন্দ্র
একইসঙ্গে শোভনদেব জানান, বাম সরকারের থেকে তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলে ৮৫ লক্ষ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছেছিল। আর তৃণমূল জমানায় মাত্র ৯ বছরে ২ কোটি ৬ লক্ষ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। এখন রাজ্যের ১০০ ভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ রয়েছে।’’ সৌরবিদ্যুতের উৎপাদনে তৃণমূল সরকার বাড়তি নজর দিয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট আমলে রাজ্যে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। আর এখন এ রাজ্যে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের দাদনপাত্রে পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy