মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে লকডাউন করতে হলে এ বার থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে আগাম আলোচনা করতে হবে। আনলক-৪ সংক্রান্ত নির্দেশিকায় প্রতিটি রাজ্যকেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, যে কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায় যখন রাজ্যের, তখন তাদের উপর ভরসা থাকা উচিত কেন্দ্রের।
এ দিন নবান্নে মমতা বলেন, “অতিমারির সময়ে অ্যাডভাইজ়রি রাজ্যকে সহযোগিতা করে। শুধুমাত্র নির্দেশেই কাজ শেষ হয় না, তা কার্যকরও করতে হয়। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতে রয়েছে। তাই রাজ্যগুলোর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে প্রতিটা বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র অভিভাবক এবং রাজ্যগুলো তার সন্তান। উভয় সরকারই নির্বাচিত। ঝগড়া না করে প্রত্যেকের উপর প্রত্যেকের ভরসা রাখা জরুরি।”
সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে গত মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে সপ্তাহে এক-দু’দিন করে লকডাউন করছে সরকার। সেই প্রক্রিয়া এ মাসেও চালানোর সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল রাজ্য। সরকার জানিয়েছিল, চলতি মাসে আপাতত ৭, ১১ এবং ১২ তারিখ গোটা রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন হবে। কিন্তু তার পরেই আসে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকার পরে কী ভাবে রাজ্য লকডাউন করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ দিন মমতা বলেন, “আগের নির্দেশিকায় কেন্দ্র বলেছিল, লকডাউন নিয়ে রাজ্যই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ বার তারা বলেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যকে কথা বলতে হবে। আমরা তো আগেই ৭, ১১ এবং ১২ তারিখ লকডাউন হবে বলেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তা জানিয়েও দিয়েছি। আমরা তো আলোচনা করেছি, আর তো সমস্যা থাকার কথা নয়!”
তবে রাজ্যের বক্তব্য, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা শিথিল করার ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকা উচিত। কোথায় সংক্রমণের চরিত্র কেমন, কী ভাবে তা রোখা যাবে, তা স্থানীয় প্রশাসনই ভাল বুঝবে। তাই করোনা-পর্বের শুরু থেকে লকডাউন সংক্রান্ত সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখলেও ধীরে ধীরে রাজ্যের হাতে তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। চলতি আনলক পর্বেও সেই ধারা বজায় রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন প্রশাসনিক কর্তরা। এ দিন মমতাও বলেন, “রাজ্যের কোন এলাকাকে কন্টেনমেন্ট করতে হবে, কোন এলাকা সেই তালিকা থেকে বাদ যাবে বা কোন এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, তা রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনগুলি বোঝে। আকাশ থেকে কেউ তা বুঝতে পারে না। এ সব বুঝতে গেলে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে কাজ করতে হয়। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রাজ্যগুলোকে ভরসা করা উচিত কেন্দ্রের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy