ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাইরে আরও পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকাকে পরিবেশগত ভাবে সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ওই এলাকায় পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনও কাজের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলা হয়েছে। রাজ্য বন দফতরকে এই এলাকা চিহ্নিত করে এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকার নজরদারি ও পরিচালনের জন্য একটি মনিটরিং কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। পদাধিকার বলে ওই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন জেলাশাসক এবং সদস্য-সচিব হবেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর (পূর্ব)।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ওই এলাকার মধ্যে ৫০টি গ্রাম রয়েছে। সেগুলিতে কোনও ধরনের পাথর ভাঙার কল, কাঠ চেরাই কল, বড় মাপের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানা তৈরি করা যাবে না। জমির চরিত্র বদল করা যাবে না। একই ভাবে ওই এলাকায় বায়ু, জল, শব্দ দূষণে লাগাম টানতে হবে। এর পাশাপাশি বড় মাপের হোটেল, গাছ কাটা, ইকো-ট্যুরিজ়ম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ইকো-ট্যুরিজ়মের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। এলাকায় রাস্তা নির্মাণ ও সারাই, জনপরিষেবার কাজ এবং ঐতিহ্যশালী নির্মাণ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। বন দফতরের খবর, এই নির্দেশিকায় বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, জৈব চাষ, উদ্যানপালন, পরিবেশবান্ধব যান ব্যবহার, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারে উৎসাহ জোগাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দখল হয়ে যাওয়া বিভিন্ন অরণ্যাঞ্চল, জলাশয়কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হবে।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব বলছেন, “এই নতুন নির্দেশিকার ফলে বক্সা লাগোয়া এলাকার পরিবেশ সুরক্ষিত হবে। হাতি চলাচলের যে পথ বা করিডর রয়েছে, সেগুলিও সুরক্ষিত থাকবে।” বন-কর্তারা জানান, বেশ কিছু এলাকা ও নির্মাণকে জিপিএস মানচিত্রে আনতে হবে। পর্যটনের নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করতে হবে। তার পরে সেগুলিকে বাস্তবায়নের পথে এগোনো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy