রাজ্যের আটটি জেলার ৩০টি স্কুল ঘুরে, ৮৯৬ জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে দিল্লি ফিরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। ফাইল চিত্র।
কী দেখলেন, তার জবাব দেননি বাংলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের হাল দেখতে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তাঁরা কেন কলকাতার কোনও স্কুলে গেলেন না, রয়ে গিয়েছে সেই প্রশ্নও। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, রাজ্যের শিক্ষা দফতর যে-ভাবে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে ওই দলকে নিয়ে গিয়েছে, তাতে কি প্রকৃত পরিদর্শন সম্ভব?
সাত দিন ধরে রাজ্যের আটটি জেলার ৩০টি স্কুল ঘুরে, ৮৯৬ জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে সোমবার দিল্লি ফিরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। কোথাও কোনও অনিয়ম-অসঙ্গতি নজরে পড়েছে কি? সরাসরি উত্তর এড়িয়ে দলের প্রধান পুষ্টিবিদ অনুরাধা দত্ত জানান, হাতে আসা তথ্য বিশ্লেষণ না-করে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। তা হলে এত দিন ঘুরে দেখলেনটা কী, স্বভাবতই সেই প্রশ্ন ওঠে। অনুরাধা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে।’’
দিল্লি থেকে আসা ১২ জনের দলটি ৩১ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ঘুরতে শুরু করে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের কয়েক জন প্রতিনিধি। প্রশ্ন উঠছে, এ ভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দিষ্ট স্কুলে মিড-ডে মিলের অবস্থা দেখতে গেলে প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে কি? দিল্লির প্রতিনিধিরা স্কুলে গিয়ে দেখেন, মিড-ডে মিলের রাঁধুনিদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পরনে অ্যাপ্রন। সত্যিই কি সব স্কুলে রন্ধনকর্মীরা রোজ এ ভাবে রান্নাসাজ পরে কাজ করেন? দলটি কলকাতার কোনও স্কুল পরিদর্শন করেনি। মহানগরীর স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল রান্না হয় ক্লাস্টার কিচেনে। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক স্কুলের রান্না হয় এক-একটি রান্নাঘরে। সেই রান্নাঘর থেকে ভ্যানে খাবার নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলে স্কুলে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের প্রশ্ন, এই ক্ষেত্রে যে-সব অসুবিধা ও সমস্যা আছে, তা তো চোখেই পড়ল না কেন্দ্রীয় দলের। শুধু জেলার কয়েকটি স্কুল ঘুরে সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন এবং অন্যান্য শিক্ষাকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে গিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy