Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Republic Day

প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘প্রজা’ বিক্ষোভের আশঙ্কায় কেন্দ্র

রাজ্যগুলিকে পাঠানো বার্তায় নর্থ ব্লক জানিয়েছে, সিএএ বিরোধী মঞ্চের রাশ বেশ কিছু ‘দেশদ্রোহী সংগঠন’ হাতে নিতে চাইছে।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে পরে জঙ্গি হানার আশঙ্কার কথা জানিয়ে এত দিন রাজ্যগুলিকে সতর্ক করত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ বারও সেই সতর্কতা এসেছে। কিন্তু এ বারের সতর্কবার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশ জুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সময় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতা করে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে। সেই বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারাও নিতে পারে।

রাজ্যগুলিকে পাঠানো বার্তায় নর্থ ব্লক জানিয়েছে, সিএএ বিরোধী মঞ্চের রাশ বেশ কিছু ‘দেশদ্রোহী সংগঠন’ হাতে নিতে চাইছে। তারাই প্রজাতন্ত্র দিবসের সময়ে কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীরে গোলমাল পাকাতে পারে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ বা ইন্টারনেট বন্ধ করে স্থায়ী সমাধান পাওয়া মুশকিল। তাই গোলমালের স্থান, ব্যক্তি বা সংগঠন সম্পর্কে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

নর্থ ব্লকের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়, সংসদে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাশ এবং জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জি (এনআরসি) চালু হতে পারে এই ধারণা দেশের সাম্প্রদায়িক আবহকে মারাত্মক আকার দিয়েছে। সরকার তাদের উপরে নিপীড়ন চালাতে পারে, মুসলিম সম্প্রদায়ের এই আশঙ্কায় বেশ কিছু মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ইন্ধন জোগাচ্ছে। গোটা দেশ থেকে যে তথ্য এসেছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপনের সময় অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানানো হতে পারে। ওড়ানো হতে পারে কালো বেলুন, কালো পোশাক পরে বা লুকিয়ে রাখা ব্যানার আচমকা বার করে বিক্ষোভ দেখানো হতে পারে।

কোন রাজ্যে কোন কোন সংগঠন সিএএ-র বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে কী বিক্ষোভ দেখাতে পারে তারও উল্লেখ রয়েছে সতর্কবার্তায়। বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই ধরনের বিক্ষোভ সামান্য ইন্ধনেই হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমন ঘটনা ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে আগাম সক্রিয় হতে হবে।

সিএএ বিক্ষোভের পাশাপাশি জঙ্গি হানার ব্যাপারেও সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করতে পারে বলে কলকাতার উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, জঙ্গিরা হামলা চালাতে ড্রোন, রিমোট কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট, প্যারাগ্লাইডার্স, হ্যাঙ্গ-গ্লাইডার্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। সম্প্রতি পঞ্জাবে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, উদ্ধার হয়েছে। যা ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে পঞ্জাবে নামানো হয়েছিল।

মন্ত্রক বলেছে, বিশ্বে ড্রোন হামলার ঘটনা বাড়ছে। কারাকাসে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতির উপর এবং সৌদি আরবে অ্যারামকো কমপ্লেক্সে ড্রোন হামলা হয়েছে। ফলে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময়েও এই কায়দায় হামলা চালাতে পারে। সেই কারণে পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি, বড় মাঠ, ফ্লাইং ক্লাব, গ্লাইডিং ক্লাবের উপর বাড়তি নজর চালাতে হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy