Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Recruitment Case

এসএসসি এবং প্রাথমিকে দুর্নীতি ‘টুইন টাওয়ার’ হলে পুর নিয়োগে অনিয়ম ‘বুর্জ খলিফা’র মতো: সিবিআই

বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সে সময় সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার টুইন টাওয়ারের মতো।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১১
Share: Save:

প্রাথমিক টেট-এর মামলায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের তুলনা আগেই টেনেছিলেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি। এ বার শিক্ষা এবং পুরসভা দুর্নীতি প্রসঙ্গে আমেরিকার টুইন টাওয়ারের পাশাপাশি উঠে এল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার উপমাও।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সে সময় সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার টুইন টাওয়ারের মতো। একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি হয়, অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিংহ পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গও তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, ‘‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।’’

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা। তদন্তকারীদের দাবি, জেলায়-জেলায় কী ভাবে এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি হয়েছিল তারও তথ্য হাতে এসেছে। অনেকেরই অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা (টেট) হয়েছিল। কার্যত সেখান থেকেই দুর্নীতির চারাগাছ বপন করা হয়েছিল। টেট-এর প্রশ্ন ভুল করা, তা প্রমাণের পরেও নম্বর না-দেওয়া ইত্যাদি করার ফাঁকে অবৈধ নিয়োগও হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমনই যে বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের চাকরি বাঁচাতে কার্যত রুখে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতি দেখেই চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের বক্তব্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি যে গগনচুম্বি এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। একই কথা প্রযোজ্য এসএসসি মারফত নিয়োগের ক্ষেত্রেও।

এ দিনের মামলাটি হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেট-সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। সে সময়ই সিবিআইয়ের কৌঁসুলি প্রাথমিক দুর্নীতির সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উপমা দেন। কারণ, ১১ সেপ্টেম্বর

ওই বহুতল জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল। বিচারপতিও বলেছিলেন যে, দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয় তা হলে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।

তবে ১১ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের এক আইনজীবীর প্রয়াণে কাজ হয়নি। তার পরের দিনগুলিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসেননি। সামনের সপ্তাহে সিবিআই ওই টেট-সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Case Calcutta High Court CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy