Advertisement
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
R G Kar Hospital Incident

পরস্পরবিরোধী বয়ান সেই রাত নিয়ে

সিবিআই সূত্রের দাবি, ‘‘সেই রাতে চিকিৎসক কী খেয়েছিলেন, কে তা অর্ডার দিয়েছিলেন ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক বয়ান উঠে আসছে জিজ্ঞাসাবাদে। শীর্ষ আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে থাকছে এই সব কিছুই।’’

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:২৭
Share: Save:

সিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ দিন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় এখনও মেলেনি বেশ কিছু প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সিবিআই সূত্রে সামনে এসেছে বিভিন্ন জনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য।

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আর জি করের কর্মী-সহ মৃতা এবং ধৃতের ঘনিষ্ঠ বা পরিচিত দু’শো জনের বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে ঘটনার রাতে মৃতার সঙ্গে থাকা পড়ুয়া এবং অন্যান্য কর্তব্যরতদের ‘পরস্পরবিরোধী বয়ান’। সিবিআই সূত্রের দাবি, ‘‘সেই রাতে চিকিৎসক কী খেয়েছিলেন, কে তা অর্ডার দিয়েছিলেন ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক বয়ান উঠে আসছে জিজ্ঞাসাবাদে। শীর্ষ আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে থাকছে এই সব কিছুই।’’ ওই সূত্রের বক্তব্য, ‘‘মৃতদেহ নেই। ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির ফুটেজ আর জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বক্তব্য এই তদন্তের অন্যতম ভরসা। এই দুই ক্ষেত্রেই অসঙ্গতি রয়েছে। প্রয়োজনে ফুটেজের প্রতিটি ফ্রেম ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।’’

সিবিআই সূত্রের দাবি, ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের কাছে যে বয়ান দিয়েছে বলে মিলেছে, তাও মিলছে না সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে। সঞ্জয় পলিগ্রাফ পরীক্ষায় যা দাবি করেছে, তাও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া বয়ানের থেকে আলাদা।

এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে হাজির তোলা হবে সঞ্জয়কে। সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের বীর্যের নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য পুলিশ বা সিবিআই কেন তা সংগ্রহ করেনি, সেই প্রশ্ন তোলা হতে পারে কোর্টে। কিন্তু সিবিআই সূত্রে দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃতার শরীর থেকে যে ‘সাদা ঘন চটচটে তরল’ উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, তা যে বীর্য, তার উল্লেখ নেই। ফলে তা বীর্য কি না, আগে সেই পরীক্ষা প্রয়োজন। ধৃত সঞ্জয়ের ডিএনএ ওই তরলে পাওয়া গিয়েছে কি না, তা দেখলেই হবে। সে ক্ষেত্রে তার বীর্য নেওয়ার প্রয়োজন সে অর্থে নেই। মাথার চুল বা রক্তের নমুনা থেকেও তা নেওয়া যেতে পারে।

সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের দাবি, সে রাতে এক পরিচিতের অস্ত্রোপচার কেমন হল জানতে ঘটনাস্থলের কাছে গিয়েছিল। তার ইয়ারফোন ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল। সিজার তালিকায় লেখা হয়, মৃতদেহ যে ম্যাট্রেসে ছিল, তার তলা থেকে ওই ইয়ারফোন মেলে। কিন্তু সূত্রের দাবি, সঞ্জয় জেরায় দাবি করেছে, সে সেই রাতে সেমিনার রুমে গেলেও রক্তাক্ত দেহ দেখে তড়িঘড়ি বেরোতে যায়। তখন পোডিয়ামের পায়ায় হোঁচট খায় ও ইয়ারফোন পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তা ম্যাট্রেসের নীচে যাবে কী করে? তবে কি ‘অ্যালিবাই’ তৈরি করা হচ্ছে ধৃতের তরফে? তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতার আঘাতগুলিও। তা প্রতিরোধের চিহ্ন না কি তাকে মারধরের, বোঝার চেষ্টা চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

R G Kar Medical College and Hospital CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy