অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল ছবি।
অনুব্রত মণ্ডলের এক ‘ঘনিষ্ঠের’ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। গরু পাচারের ইডি-সিবিআই মামলায় জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, অনুব্রত-‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তির একাধিক বেসরকারি বিএড, ডিএলএড, নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে এবং সম্প্রতি ভিন রাজ্যেও ওই ব্যক্তি একটি মেডিক্যাল কলেজ খুলেছেন। ২০১১ সালের পর বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজের মালিকদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। ওই সংগঠনের পদাধিকারী ছিলেন বীরভূমের শাসক দলের আর এক নেতা। আর ওই সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে তার সদস্য অনুব্রত-‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তি। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, পদাধিকারী নেতাকে একাধিকবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বীরভূমের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ওই নেতার পরিবর্তে ওই সংগঠনের সভাপতি হয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। বর্তমানে প্রাথমিকের মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তাপস।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, তাপস এবং ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য পাওয়া গিয়েছিল এবং অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। ওই সূত্রেরই দাবি, বীরভূম জেলা থেকে শতাধিক অযোগ্য প্রার্থী বাঁকা পথে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য এসেছে। সম্প্রতি দেড় হাজারের বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর পরই অনুব্রত-‘ঘনিষ্ঠ’ ওই ব্যক্তির নাম ফের উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে নোটিস জারি করে তলব করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy