—ফাইল চিত্র।
তদন্তের কাজে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের সাহায্য চায় সিবিআই। বুধবার এই আর্জি নিয়ে তারা দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের প্রয়োজনের কথা শোনামাত্রই একটি বিশেষ নির্দেশ পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে।
রাজ্যে এই মুহূর্তে অনেকগুলি মামলার তদন্ত ভার সামলাচ্ছে সিবিআই। সারদা, নারদা, কয়লা, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগের মতো মূল মামলাগুলির পাশাপাশি আরও অনেক তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত খোদ রাজ্যেরই শাসকদলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ। অনেককে ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। আবার সারদা মামলার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতও হয়েছিল সিবিআইয়ের। তদন্তের সূত্রে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল সিবিআই। যার জেরে সিবিআই কর্তাদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সেই সময়। আর এখন সেই মমতারই অধীনে থাকা রাজ্য পুলিশের সাহায্য চায় সিবিআই।
যুক্তি হিসাবে তারা জানিয়েছে, একসঙ্গে এতগুলি মামলার দায়িত্ব সামলানো মুখের কথা নয়। লোকবলের সমস্যা হচ্ছে জানিয়েই বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হয়েছিল সিবিআই।
বিচারপতিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, সিবিআইকে সাহায্য করার জন্য রাজ্য পুলিশ থেকে ১০ জন কর্মী দেওয়া হোক। যারা পুরোপুরি সিবিআইকেই সাহায্য করার দায়িত্বে থাকবে। এর মধ্যে দু’জন সাব ইনস্পেক্টর এবং ৮ জন কনস্টেবল চাওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। প্রয়োজনের গুরুত্ব বিচার করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতিও। সিবিআইয়ের আর্জির ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে কয়েকটি নির্দেশ দেন তিনি।
বিচারপতি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ওই ১০ জনকে সিবিআইকে ডেপুটেশনে দিতে হবে। অর্থাৎ, ওই ১০ জন পুলিশকর্মী সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে থাকবে সিবিআই কর্তাদের। যদিও তাদের ঠিক কী কাজ করতে হবে, তা আদালতে স্পষ্ট করেনি সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy