—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর কাণ্ডে ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টের পাশাপাশি তরুণী চিকিৎসকের শরীর থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।
নিহত চিকিৎসকের ময়না তদন্ত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে আগেই। জানা যাচ্ছে, আর জি কর থেকে ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট মিলেছিল, তা দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির ছবি খুব স্পষ্ট না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। রিপোর্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কী, তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এ জন্য ৯ অগস্ট ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসককে বেশ কয়েক বার করে তলব করে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তরুণী চিকিৎসকের শরীরের বাইরে ও ভিতরের আঘাত সম্পর্কে যে দিকগুলি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রত্যেক চিকিৎসকের আলাদা ব্যাখ্যা নথিভুক্ত করা হয়। ময়না তদন্তের দু’দিন পরে সংগৃহীত নমুনাগুলি ফরেন্সিক
পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার কয়েকটির রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিল্লি এমসে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সমস্ত রিপোর্ট একত্রিত করে মৃতের শরীরের আঘাতগুলির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেখানে এক চিকিৎসকের মোবাইলবন্দি ১৫টি ছবিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
আবার, বিকেল চারটের পরে কেন তড়িঘড়ি ময়না তদন্ত করা হল, শুধু তা-ই নয়, ময়না তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগস্ট সন্দীপ ঘোষের ঘরে বার বার কেন গিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরও সিবিআই খুঁজছে। সে জন্য তাঁকে বার বার তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়না তদন্ত শুরুর আগে প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপের ঘরে বসেছিলেন অপূর্ব। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষ হতেই ফের তিনি যান ওই ঘরে। আধ ঘণ্টা পরে ফিরে এসে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন। এর পরে ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিলেন অপূর্ব। কেন? কোনও চাপ কি ছিল ফরেন্সিক মেডিসিনের ওই চিকিৎসকের উপর? কে চাপ দিয়েছিল?
এ দিকে, তরুণী চিকিৎসকের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি দু’দিন ধরে মর্গেই রাখা ছিল। যদিও নিয়মানুযায়ী ময়না তদন্তের রিপোর্টের সঙ্গেই পুলিশ নমুনাও নিয়ে যায় পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য। আর জি করের ক্ষেত্রে তা হয়নি। সূত্রের খবর, ৯ অগস্ট রাতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল এবং রাত ১০টা নাগাদ পোর্টালে আপলোডও হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও পুলিশ নমুনা দু’দিন ফেলে রাখল কেন? আরও জানা যাচ্ছে, দু’দিন পরে মর্গ থেকে নমুনাগুলি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন অপূর্ব একাই। প্রত্যেক নমুনার উপরে যে সিল করা হয়েছে, তাতে একমাত্র সই অপূর্বেরই, ময়না তদন্তে থাকা বাকি দু’জনের সই নেই। ফলে ওই নমুনার বিষয়ে তিন জনের উপস্থিতির বিষয়টি আর গ্রাহ্য হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy