সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (বাঁ দিকে), শান্তিপ্রসাদ সিন্হা (মাঝে), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পর এ বার সিবিআই। তদন্ত শুরুর ৫১ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল তারা। গ্রুপ-সি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটেও রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। পার্থ ছাড়া আরও ১৫ জনের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। এই মামলায় এর আগে চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।
চার্জশিটে পার্থ ছাড়াও নাম রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সমরজিৎ আচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, অশোককুমার সাহা, অ্যাডহক কমিটির সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থী দীপঙ্কর ঘোষ, সুব্রত খাঁ, অক্ষয় মণি, সমরেশ মণ্ডল, সৌম্য কান্তি মৃধ্যা, অভিজিৎ দলাই, সুকান্ত মল্লিক, ইদ্রিস আলি মোল্লা, অজিত বর, ফরিদ হোসেন কাসকার-এর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪২০, ১২০বি, ২০১ ধারায় এবং অপরাধ বিধির সাত নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গত বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ। সেই আবেদন খারিজ হয়। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ এবং অর্পিতাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। হেফাজতে গিয়ে তাঁদের জেরার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
২৩ জুলাই পার্থকে তাঁর নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি। তারা দাবি করেছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এ ১০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। গত বুধবার ইডি আদালতে জানায়, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইডির কাছ থেকে পার্থকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy