সিবিআইয়ের দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
দু’জনকে ডেকে পাঠানোর মূলে আছে দু’টি পৃথক মামলা। তবে শুক্রবার, একই দিনে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে তদন্তকারী অফিসারদের মুখোমুখি হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
সিবিআই সূত্রের খবর, রাজীবকে রোজ ভ্যালির মামলায় এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবুকে সারদা-কাণ্ডে ডাকা হয়েছিল। সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের দফতর থেকে দু’জনে পরপর বেরিয়ে আসেন। রাজীব কিছু বলেননি। পার্থবাবু বলেন, ‘‘আমাকে সংগঠনের কিছু বিষয়ে ডাকা হয়েছিল। ব্যক্তিগত কারণে নয়।’’ শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠানোর বিষয়টি নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ওঠে। এটা সিবিআইয়ের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে এ দিন পার্থবাবুকে ডাকা হয়েছিল বলে জানায় সিবিআই। তাদের অভিযোগ, ওই মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রির টাকা ঢুকেছে। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েক বছর জাগো বাংলার প্রকাশক ছিলেন। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায় এক সময় জাগো বাংলার লেনদেনের হিসেব রাখতেন বলে সব তৃণমূল নেতারা প্রশ্নের মুখে সিবিআই-কে জানিয়ে এসেছেন। মুকুল দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে পার্থবাবু, সুব্রত বক্সী, মানিক মজুমদারেরা সেই অ্যাকাউন্টের হিসেব রাখতেন।
রোজ ভ্যালি কাণ্ডে রাজীবকে ৮ অগস্ট ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে-বার সাত দিন সময় চান রাজীব। এ দিনও সিআইডি-র এক অফিসারকে পাঠিয়ে প্রাক্তন সিপি ফের সময় চান। জানান, ১৯ অগস্ট হাইকোর্টে মামলার শুনানির পরে তিনি জানাবেন, কবে সিবিআইয়ের কাছে যাবেন। রাজীবের সেই দূতকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেয় সিবিআই। তাদের বক্তব্য, হাইকোর্টে সারদা নিয়ে মামলা চলছে। তার সঙ্গে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি এ দিন হাজির না-হলে সিবিআই যে শনিবারেই আদালতের দ্বারস্থ হবে, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরে বেলা ২টো নাগাদ হাজির হন রাজীব।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, তারা এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ২০১৪-১৫ সালে রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে যখন জেরা করছিল, সেই সময়েই পুলিশের ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্ত দলের অন্যতম কর্তা হিসেবে রাজীব তাঁর উপরে মানসিক চাপ তৈরি করেন। বিশেষত, নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া এবং কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের নথি সরিয়ে ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল গৌতমকে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে তো নানা রকম কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে। আরও অনেককেই ডাকা হতে পারে। আর তদন্তে রাজীব কুমারের সহযোগিতা করা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy