সায়গল ও এনামুলের মধ্যে ফোনে একাধিক বার কথা হয়েছে। ছবিতে বাঁ দিকে অনুব্রত, মাঝে সায়গল, ডান দিকে এনামুল।
গরুপাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে একটা সময় নিয়মিত কথা হত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। ফোনকলের রেকর্ড ঘেঁটে এমনটাই সিবিআই জানতে পেরেছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সায়গলের মাধ্যমেই কি গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি? ওই সূত্রটির দাবি, সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।
গরুপাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সায়গলের মাধ্যমেই সম্ভবত যোগাযোগ রাখা হত। অনুব্রতের ফোনও ধরতেন সায়গল। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের যোগাযোগ হয়েছে, সেই প্রমাণও সিবিআই পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সায়গল ও এনামুলের মধ্যে ফোনে ১৬ বার কথা হয়েছে। আট বার সায়গল ফোন করেছেন। এনামুল ফোন করেছেন আট বার। জুন মাসে দু’জনের মধ্যে দু’বার কথা হয়েছে। জুলাই মাসে দু’বার। অগস্টেই সায়গল এবং এনামুলের মধ্যে সব থেকে বেশি বার কথা হয়েছে। আট বার। সেপ্টেম্বরে দু’জনের মধ্যে ফোন হয়েছে চার বার।
সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের ফোনে অনুব্রত কথা বলতেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কল লিস্ট ঘেঁটে সিবিআই জানতে পেরেছে, মাসের শেষের দিকেই সায়গল এবং হোসেনের বেশি কথা হত। ১৬ বার যে কথা হয়েছে, তার বেশির ভাগই সন্ধ্যার পর বা রাতে। ২০ অগস্ট সন্ধ্যার দিকে একাধিক বার ফোনে কথা হয় দু’জনের। এমনটাই জানা গিয়েছে কল লিস্ট থেকে।
সিবিআইয়ের দাবি, তারা সায়গল ও তাঁর পরিবারের নামে ৫৯টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সেগুলি বোলপুর, বিধাননগর, রাজারহাট, সিউড়ি, ডোমকলে কেনা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা সাব রেজিস্ট্রার (এডিএসআর) অফিসে তা নথিভুক্তও করা হয়েছে। ওই সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য চার কোটি টাকারও বেশি। সায়গলের পরিবারের এক সদস্যের নামে পেট্রলপাম্পও রয়েছে। রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার গাড়িও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy