Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal SSC Scam

‘৬৬৭ জনের নম্বর বেড়ে গিয়েছিল সুবীরেশের নির্দেশেই’! এসএসসি মামলায় দাবি সিবিআইয়ের

এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছিল সিবিআই। সেই প্রসঙ্গেই আদালতে এই নতুন দাবি জানিয়েছে সিবিআই।

সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নতুন দাবি জানাল সিবিআই।

সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নতুন দাবি জানাল সিবিআই। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১২:১১
Share: Save:

এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, তাঁর জমানায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। পাল্টা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী সিবিআই আদালতকে জানাল, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। এই মর্মে আদালতে প্রমাণ দিতে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন এবং প্রমাণসাপেক্ষ বলে সূত্রের খবর।

সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। এই পরীক্ষায় ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আগেই আদালতে দাবি করেছিল সিবিআই। সোমবারও মামলার অগ্রগতির কথা জানিয়ে তারা আদালতকে বলেছে, এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে তারা। আর এই ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) বদলানো হয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশের নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানে।

সুবীরেশের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই অভিযোগের উল্লেখও রয়েছে আদালতের নির্দেশনামায়। উল্লেখ্য, এই সুবীরেশই তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ শোনার পর জোর দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর জমানায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য ছিল, সুবীরেশ প্রভাবশালী। এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরও সুবীরেশের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল। তিনি তার পরও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ছিলেন। দার্জিলিং হিলস্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যও করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ, নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি, এমনকি, রাজ্যের উপাচার্য পরিষদের সম্পাদকের পদেও থেকেছেন সুবীরেশ। সুবীরেশকে জেরা করে প্রভাবশালী সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশের বিরুদ্ধে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল। এসএসসি সংক্রান্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম ছিল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। বস্তুত, যে সময়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সুবীরেশ। সিবিআই আদালতকে বলেছিল, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনায় হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার সুবীরেশকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy