ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহেই এক বার হাওড়ার বাঁকড়া রাজীবপল্লিতে গিয়েছিল সিবিআই। ভোট-পরবর্তী হিংসায় খুন-ধর্ষণের তদন্তে নেমে তাদের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সাতসকালে আবার ওই এলাকায় হানা দেয়। ওই অঞ্চলে অশান্তি পাকানোর ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জন বাসিন্দাকে আটক করে তারা। তাঁদের মধ্যে পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে রাজীবপল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। সিবিআই গত সপ্তাহে কয়েক বার রাজীবপল্লিতে গিয়ে আক্রান্তদের বয়ান রেকর্ড করেছিল। এ দিন কিছু অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে সিবিআই-কে দিয়ে বাঁকড়ায় ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। ’’
বিজেপির কিসান মোর্চার নেতা কিশোর মান্ডির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকারের অফিসে যান তাঁরা। ৫ মে কিশোরকে কারা কখন হাসপাতালে ভর্তি করান, কী চিকিৎসা হয়েছিল, কোন চিকিৎসক তাঁকে দেখেছিলেন ইত্যাদি ব্যাপারে খোঁজখবর নেন তদন্তকারীরা। যে-তিন চিকিৎসক ওই দিন কিশোরের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁদের বয়ানও নেয় সিবিআই।
এ দিন দিনহাটার জামাদরবসে যায় সিবিআই। ওই গ্রামে ভোটের পরে হারাধন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দারা জানান, এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হারাধন খুনে অভিযুক্তদের তালিকায় ওই যুবকের নাম রয়েছে। গোপালপুরে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে কয়েক জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। হারাধনের আত্মীয়েরা সিবিআই-কে জানান, অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চান তাঁরা।
কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ শিয়ালদহ আদালতে হাজির হয়ে তাঁর ভাইয়ের দেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন। কলকাতা পুলিশ প্রথমে ময়না-তদন্ত করেছিল। পরে দেহটি এনআরএসে রাখা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেনা হাসপাতালে দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্ত হয়। এ দিন দ্বিতীয় রিপোর্ট চেয়েছেন বিশ্বজিৎ। মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছিল। তার রিপোর্ট তাঁদের দেওয়ার জন্যও আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy