—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা করার পরে শীর্ষ আদালতের কয়েকটি নির্দেশকে হাতিয়ার করে তালিকা-বহির্ভূত অযোগ্য প্রার্থীদের ফের বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি সিবিআইয়ের তরফে শিক্ষা দফতরের কয়েক জন আধিকারিককে ওই বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবং সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুলে তালিকা-বহির্ভূত প্রায় শতাধিক অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করার খোঁজ মিলেছে বলেও সূত্রের দাবি।
সিবিআই সূত্রের খবর, ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৬-২০২০ নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই বিশেষ আদালতে পাঁচটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। ওই সব মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন সচিব সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও অশোক সাহা এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। তবে ইডির মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সম্প্রতি জামিনে মুক্ত। এই চক্রের শরিক আরও অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরাও অনেকে জামিনে মুক্ত।
সূত্রের দাবি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নিম্ন আদালতে পাঁচটি মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। পরে নতুন তথ্য জানা গেলে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে সিবিআইয়ের তরফে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল। চূড়ান্ত চার্জশিট জমা হওয়ার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কয়েক মাস কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি হয়। ৬৫০০ অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন বাতিল হয়ে যাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। আরও কয়েকটি মামলায় বিশেষ নির্দেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
সূত্রের দাবি, শীর্ষ আদালতের কয়েকটি নির্দেশকে হাতিয়ার করে শিক্ষা দফতরের তরফে ফের বেআইনি ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের শুনানি চলছে। নিম্ন আদালতে পাঁচটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে শুনানির তোড়জোড় চলছে। এর ফাঁকেই ফের ২০২৪ সালে বেআইনি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তথ্য উঠে আসছে। নিয়োগ মামলার মূল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "অবিলম্বে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে তথ্য পেশ করা উচিত। ২০২৪ সালের বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে আইনজীবীরাও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy