সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। নিজস্ব চিত্র।
দুর্নীতি ও দুষ্কৃীতি-রাজের অভিযোগ ঘিরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। জেলায় জেলায় বামেদের কর্মসূচিতে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে নানা অছিলায় আরএসএস বিভাজনের কৌশল কাজে লাগাতে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে তথ্য উঠে এল সিপিএমের দলীয় স্তরে। দলের জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, কোথাও কোথাও ‘নো ভোট টু তৃণমূল’-এর কথা বলে বাম-সহ নানা শক্তিকে জোটের টোপ দিচ্ছে আরএসএস-ই। শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন ধারালো করার পাশাপাশি সঙ্ঘের কৌশল সম্পর্কে সতর্ক থেকে মোকবিলার কথা বলছে সিপিএম।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু বৈঠকে উপস্থিত আছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকের প্রথম দিনে জেলার নেতারা জানিয়েছেন, কোথাও ৫০-৬০%, কোথাও ৭০% ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই হয়ে গিয়েছে। জেলা ও ব্লক স্তরে নানা কর্মসূচিতে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সমবায়-সহ স্থানীয় নির্বাচনে ভাল ফল হচ্ছে। লুট, দুর্নীতির হাত থেকে পঞ্চায়েতকে মুক্ত করতে হবে, এই মনোভাব থেকে মানুষ এগিয়ে আসছেন বলে জেলার নেতাদের দাবি। তবে স্থানীয় বিষয় নিয়ে আন্দোলনে তৃণমূল স্তরে বিজেপি সে ভাবে সক্রিয় না হলেও কাজ করছে আরএসএস। একাধিক জেলার সিপিএম নেতারা বৈঠকে জানিয়েছেন, কোথাও দলিত বা জনজাতি ভাবাবেগ উস্কে দিয়ে, কোথাও মন্দির বা অন্য কোনও ধর্মীয় বিষয়কে হাতিয়ার করে আরএসএস গ্রামীণ জনতাকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘অত্যন্ত সতর্ক ভাবে সঙ্ঘের এই কৌশলের মোকাবিলা করতে হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ব্লক ও আরও নিচু তলায় আন্দোলনের প্রাবল্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। বুথ আগলানোর দায়িত্বে কর্মীদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য, পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। কিন্তু তার বদলে বামেদের গ্রহণ করার প্রবণতা কতটা বাড়ছে? সে দিকে নজর রাখাই আসল কাজ, এই বার্তাই দলের অন্দরে দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য নেতৃত্বের বার্তা, তৃণমূলের বিকল্প যে বিজেপি নয়, তা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব বামেদেরই। বৈঠকের শেষ দিনে সেলিমের জবাবি ভাষণের পাশাপাশিই ইয়েচুরিরও বক্তৃতা করার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy