আদালতের পথে অনুব্রত। — নিজস্ব চিত্র।
আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রতের। আগামী শুনানি রয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর।
এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর হয়ে যায় তদন্ত একদমই করা যাবে না। আদালতে এমনটাই দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র।
সিবিআইয়ের দাবি, গরুর হাট থেকে গরু যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। তার পুরো তথ্য দেওয়া হয়েছে সিডিতে। শুল্ক দফতর কোনও কোন পদক্ষেপ করলে স্থানীয়রাই বিভিন্নভাবে বাধা দিতেন। আর পুরোটাই হত অনুব্রতের অঙ্গুলিহেলনে।
অনুব্রতের আইনজীবী ফারুক রজ্জাক বলেন, ‘‘সহগল যে টাকা তুলতেন, তাতে আমার মক্কেলের কী দোষ? তিনি কি বলতেন টাকা তুলতে? তার কি কোনও প্রমাণ দিয়েছে সিবিআই?’’ যার প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, ‘‘সিডিতে প্রমাণ দেওয়া আছে।’’
সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্রের দাবি, অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন এবং অনুব্রতের জন্য টাকা তুলতেন। অনুব্রতের আইনজীবী ফারুক রজ্জাক বলেন, ‘‘সহগল যে টাকা তুলতেন, তাতে আমার মক্কেলের কী দোষ? তিনি কি বলতেন টাকা তুলতে? তার কি কোনও প্রমাণ দিয়েছে সিবিআই?’’
সিবিআই আদালতে জমা করেছে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য। তা ছাড়া তাঁর নামে বহু সম্পত্তির হদিস পেয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। তাদের দাবি, এনামুলের সঙ্গে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার তথ্য রয়েছে। তারা জানায়, অনুব্রত মণ্ডল এতটাই প্রভাবশালী যে শুল্ক আধিকারিকদেরও ধমকি দিতেন।
বাংলাদেশ যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। আদালতে সওয়াল করলেন অনুব্রতের আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রত যুক্ত।
বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। আদালতে সওয়াল করলেন অনুব্রতের আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রত যুক্ত।
শুল্ক আধিকারিকদের নাকি হুমকি দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলার শুনানিতে আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। বিচারক জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কী ভাবে জড়িত অনুব্রত, তার প্রেক্ষিতে এই দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
অনুব্রতের গ্রেফতারির পর গত ১৭ অগস্ট বোলপুরে আবার হানা দেয় সিবিআই। নেতার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ হয়। যদিও অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ অর্থ পাওয়া যায়নি। সেই সব অ্যাকাউন্টে তেমন লেনদেনও হয়নি। এর পর মণীশের বাড়িতে তল্লাশি হয়। মেয়ে সুকন্যা-সহ অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির সম্পত্তির খোঁজ নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বুধবার সেই সব তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্কে যে অর্থ জমা রয়েছে, সেগুলো কোথা থেকে এসেছে, আদালতে তার তথ্য জমা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রতের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী ফারুক রেজা, আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা।
আসানসোল সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানি করার আবেদন করেছিলেন জেল সুপার কৃপাময় নন্দী। কিন্তু অনুব্রতকে হাজির করে শুনানি করানো হবে বলেই জানানো হয়। কারণ, সংশোধনাগারে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকলেও আদালতের সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেই। সে জন্যই তৃণমূল নেতাকে সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গরু পাচার মামলায় আবার আদালতে হাজির করানো হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করা হয়। তোলা হয় গাড়িতে। সাংবাদিকদের ‘শরীর কেমন আছে’ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, শরীর ভাল নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy