নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে কিছু প্রার্থীদের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
দিন ছয়েক পরেই, ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘টেট’ নেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু আবেদনকারী জানতে পারেননি, তাঁদের আবেদনপত্র বিবেচনাধীন কি না। নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে ওই প্রার্থীদের অভিযোগ। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, যাঁরা প্রযুক্তিগত সমস্যা বা অন্যান্য কারণে নির্ধারিত সময়সীমা ৮ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে পারেননি, তাঁরা ৯ এবং ১০ জানুয়ারি পর্ষদের দফতরে গিয়ে অফলাইনে ওই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী বেশ কিছু প্রার্থী পর্ষদের অফিসে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলি গৃহীত হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে তাঁরা এখনও অন্ধকারে। পর্ষদকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইনে আসা সব আবেদনপত্রই তাঁরা দেখেছেন। যোগ্য প্রার্থীদের রোল নম্বর আপডেট করে পর্ষদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু আবেদনকারীর অভিযোগ, ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের রোল নম্বর আপডেট করে তোলা হয়েছে। তার পরে যাঁরা ৯ এবং ১০ জানুয়ারি অফলাইনে আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, তার কোনও আপডেট ওয়েবসাইটে নেই। ‘‘পর্ষদের কথা শুনে আমরা ৯ এবং ১০ তারিখে আবেদন করলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ওই দু’দিনে আবেদন করা সত্ত্বেও বহু যোগ্য প্রার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন,’’ বলেন এক আবেদনকারী।
এই অভিযোগ জানাতে কিছু আবেদনকারী রোজই পর্ষদের অফিসে যাচ্ছেন। তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কিছু আবেদনকারী জানান, যোগ্য প্রার্থীদের যদি পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়, তা হলে তাঁরা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পথ নিতে পারেন।
পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের আশ্বাস, ‘‘কোনও যোগ্য প্রার্থীই বঞ্চিত হবেন না। অনলাইন ও অফলাইনে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের সকলের আবেদনপত্র যোগ্য কি না— সেটা বিবেচনা করে ওয়েবসাইটে আপডেট করা হয়েছে।’’
পর্ষদের এক কর্তা জানান, পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাই সব ক’টি কেন্দ্র খুব ভাল ভাবে স্যানিটাইজ় বা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে জীবাণুনাশক রাখা থাকবে। সব প্রার্থীকেই মাস্ক পরে পরীক্ষা দিতে হবে। ওই কর্তা আরও জানান, এ বার ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থীরা নিজেদের সচিত্র অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। এই সুবিধা আগে ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy