ফাইল চিত্র।
কোভিড পরিষেবা বহাল রেখে ক্যানসার চিকিৎসার কেন্দ্র হিসেবে পথ চলা শুরু হল রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট (সিএনসিআই)-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের। আজ, বুধবার থেকে নবনির্মিত এই কোভিড হাসপাতালে সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি এবং মেডিক্যাল অঙ্কোলজির বহির্বিভাগ পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর সঙ্গে গোড়া থেকে যুক্ত রয়েছে রাজারহাট-সিএনসিআই। ক্যানসার চিকিৎসায় কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে তৈরি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ছিল কোয়রান্টিন কেন্দ্র। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে একসময় তা পুরোপুরি কোভিড হাসপাতালে পরিণত হয়। এ দিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৭৫ জন। একদিনে মৃত ৫৫। রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি একাধিক জেলার করোনা রোগীরা ভর্তি হন। বুলেটিনেও কলকাতার (৬০০) থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় (৬৬৪) আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ফলে কোভিড হাসপাতালে ক্যানসারের বহির্বিভাগ শুরু হওয়ায় করোনার চিকিৎসা ব্যাহত হবে কি না সেই প্রশ্নে উঠেছে। বস্তুত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ দিন জানিয়েছে, এখন সার্জিকাল এবং মেডিক্যাল অঙ্কোলজির বহির্বিভাগ চালু হলেও শীঘ্র সেখানে ডে-কেয়ার কেমোথেরাপি পরিষেবাও শুরু হবে। এর পর সিএনসিআইয়ের পুরনো ক্যাম্পাসের ক্যানসার রোগীদের ফলো-আপ চিকিৎসাও রাজারহাটে হবে বলে খবর। ক্যানসার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম। একই বিল্ডিংয়ে দু’ধরনের চিকিৎসায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
সিএনসিআই সূত্রের খবর, পূর্ব ভারতে ক্যানসার চিকিৎসা ও গবেষণার অন্যতম প্রতিষ্ঠানকে আপদকালীন পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিড কত দিন থাকবে সে বিষয়ে যখন নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তখন এমন সিদ্ধান্ত ছাড়া উপায় ছিল না বলে মত সিএনসিআই কর্তৃপক্ষের একাংশের। সিএনসিআইয়ে ক্যানসার চিকিৎসার পরিষেবা চালু করা নিয়ে রোগীদেরও চাপ ছিল বলে বক্তব্য কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের একাংশের।
ক্যানসার রোগীদের পরিষেবা চালু হলেও কোভিড চিকিৎসার সমস্যা হবে না বলে জানান সিএনসিআই কর্তৃপক্ষ। রাজারহাটে এক ও দোতলায় ক্যানসারের চিকিৎসা হবে। তিনতলা, চারতলা, পাঁচতলা, ছ’তলায় আগের মতো কোভিডের চিকিৎসা চলবে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও বলেন, ‘‘দু’ধরনের চিকিৎসায় পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রোগীদের যাতায়াতের পথ আলাদা হওয়ায় সমস্যা হবে না।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy