প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের। প্রতীকী ছবি।
বাঁকা পথে কত ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, কত অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, তা খুঁজে বার করতেই তালিকা তলব এবং তালিকা মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীদের প্রশ্ন, পরীক্ষা পর্ব থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে যে-ভাবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে ওই সব তালিকা যাচাইয়ে অবৈধ বা ভুয়ো নিয়োগ আদৌ শনাক্ত করা কি সম্ভব?
প্রশ্ন উঠছে, কারণ, এমন অভিযোগও আছে যে, ভুয়ো লিখিত পরীক্ষায় স্রেফ সাদা খাতা জমা দিয়েই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরি পেয়েছেন অনেকে। কলকাতা হাই কোর্টে এক আইনজীবীর শোনানো একটি রেকর্ডিংয়ে এক চাকরিপ্রার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সাদা খাতা জমা দেওয়ার মজাই আলাদা।’ কারণ, পরে ওই খাতায় ঠিক উত্তর বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বৃহস্পতিবার স্কুলশিক্ষকের পদপ্রার্থীদের কৌঁসুলিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। অন্তত ১৩ হাজার জনকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তালিকা দিয়েছে। এ বার এসএসসি মেধা-তালিকা দিলে দু’টি তালিকা মিলিয়ে দেখবেন মামলাকারীর আইনজীবীরা। সেখান থেকেই নবম-দশমের শিক্ষকপদে কত ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ওই তালিকা মিলিয়ে দেখে ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ বা তালিকায় প্রার্থীদের নামের ঠাঁই বদল হয়েছে কি না, মেধা-তালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে কি না, শুধু সেগুলোই বোঝা যেতে পারে। সত্যি সত্যিই কত ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, জোড়া তালিকা মেলানোর পরে তা কী ভাবে বোঝা সম্ভব?
মোয়াজ্জেম হোসেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “যাঁরা এ ভাবে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তো এই তালিকা থেকে ধরাই যাবে না। তাঁদের নম্বর তো ডেটা এন্ট্রি করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে-সাদা খাতায় উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছে, সেই খাতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অনেক খাতা পুরনো হয়ে যাওয়ায় পুড়িয়েও ফেলা হয়েছে বলে শুনেছি।” মোয়াজ্জেমের মতে, যে-তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা থেকে কারা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, তা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব।
ইলিয়াস বিশ্বাস নামে অন্য এক চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, ইন্টারভিউয়ে অনেক অযোগ্য প্রার্থীকে পুরো নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ইন্টারভিউয়ের ভিডিয়ো হয়নি। সুতরাং ইন্টারভিউয়ে যে-সব অযোগ্য প্রার্থী পাশ করে চাকরি পেয়েছেন, তালিকা থেকে তাঁদেরও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যে-তালিকা মিলিয়ে ভুয়ো প্রার্থী ধরা হচ্ছে, সেটা চলুক। পাশাপাশি বিক্ষোভরত যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy