সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজ। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
সম্পর্কটা দেড় শতাধিক বছরের। এবং সেই নাড়ির যোগ এখনই ছিন্ন হচ্ছে না। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ আরও বেশ কিছু কাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছত্রচ্ছায়ায় থাকবে। মঙ্গলবার কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান জেভিয়ার্স-কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার আগে জেভিয়ার্স মোটেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছত্রচ্ছায়া ছেড়ে যাবে না।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। জেভিয়ার্সের সঙ্গে বাঁধন ছেঁড়ার সম্ভাবনায় কিছুটা আবেগের ছোঁয়া ছিল তাঁর বক্তব্যে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে আশুতোষবাবু বলেন, ‘‘সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজ চলছে। এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বেরিয়ে যাবে এই কলেজ। এতে আমি খুশিই। কিন্তু খারাপও লাগছে।’’
উপাচার্য এ কথা বলার পরেই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজ বলেন, ‘‘১৫৬ বছর ধরে এই কলেজ আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। তাই আলাদা হওয়াটা কঠিন। এখনই আলাদা হচ্ছেও না।’’ তিনি জানান, সেন্ট জেভিয়ার্স আরও কিছু বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কলেজ হিসেবেই থাকবে। সেন্ট জেভিয়ার্স যত দিন না বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পুরোপুরি তৈরি হয়ে উঠতে পারছে, তত দিন সে থাকবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
জেভিয়ার্স কবে স্বতন্ত্র হবে, সেটার আভাস ছিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে। দিনক্ষণ জানাননি তিনি। তবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘আগে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে সেন্ট জেভিয়ার্সকে। তার পরেই এই কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছেড়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যাবে। কবে যাবে, তা ঠিক করবেন কর্তৃপক্ষ।
বিধানসভার গত অধিবেশনে পাশ হয়ে গিয়েছে ‘সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় বিল’। আগামী জুলাইয়ে রাজারহাটে নির্মীয়মাণ ক্যাম্পাসে শুরু হবে এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম। কিন্তু এ দিন কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এখনই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাচ্ছে না।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন তাঁর বক্তৃতায় যুগের উপযোগী পাঠ্যক্রমের উপরে জোর দেন। আর পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে বলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy