গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নির্দিষ্ট সময়েই হবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। ভোটে স্থগিতাদেশ না দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বকেয়া পুরভোটগুলিও যত দ্রুত সম্ভব করাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পুরভোট মামলার শুনানির রায় ঘোষণা করে এ কথা জানিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বাকি পুরসভার ভোট কত দফায় এবং কবে ঘোষণা করা হবে? উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছিলেন, ১৯ ডিসেম্বরের পর তাঁরা এ নিয়ে সম্ভাব্য দিন ক্ষণ আদালতকে জানাতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, কলকাতার ভোট মিটলেই বাকি পুরসভায় কবে, কত দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে তা আদালতকে জানানোর কথা রাজ্যের। ফলে ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে এ কথা বলার মাধ্যমে, বাকি পুরসভায় ভোট নিয়ে রাজ্যকে নিজের সিদ্ধান্তের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে সেই শুনানি হবে।
রাজ্যে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে তাদের দাবি ছিল, কলকাতা-সহ রাজ্যের পুরভোটে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট রাখতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
এই বিষয়টি আদালতে উঠলে কমিশনের তরফে জানানো হয়, তাদের কাছে যে এম১ ও এম২ ইভিএম রয়েছে, তাতে ভিভিপ্যাটের সুবিধা নেই। ভিভিপ্যাটের সুবিধা রয়েছে এম৩ ইভিএমে, যা শুধু লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করা হয়। প্রায় সব রাজ্যেই পুরভোটের মতো সব স্থানীয় নির্বাচনে এম১ ও এম২ ইভিএম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে আদালতের প্রশ্ন ছিল, সব পুরসভায় একত্রে ভোট কেন হচ্ছে না? তার জবাবে কমিশন জানায়, ইভিএমে ঘাটতি রয়েছে। এর পরেই আদালতের প্রশ্ন, তা হলে কেন অন্য রাজ্য থেকে ইভিএম নিয়ে আসা হল না? এর জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, সেই চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য থেকে এখন ইভিএম পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy