প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুযায়ী কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের অবসরের পরে বিচারপতি রাজেশ বিন্দল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েক জন প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতির বদলির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী মেঘালয়ের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার সিকিম হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে নিযুক্ত হয়েছেন। মাদ্রাজ হাই কোর্ট থেকে বিচারপতি টি এস শিবগ্ননমকে কলকাতা হাই কোর্টে বদলি করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অরিন্দম সিংহকে বদলি করা হয়েছে ওড়িশা হাই কোর্টে। সম্প্রতি বেশ কয়েক জন নতুন বিচারপতি কলকাতা হাই কোর্টে যোগ দিয়েছেন। তার ফলে বিচারপতির সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু এই বদলি-তালিকার হিসেবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ মোট তিন জন বিচারপতি কলকাতা থেকে বদলি হয়ে গেলেন। এলেন দু’জন।
মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের তথ্য অনুযায়ী বিচারপতি শ্রীবাস্তবের জন্ম ১৯৬১ সালে। ১৯৮৭ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। মূলত দেওয়ানি, কর ও সাংবিধানিক মামলায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুপ্রিম কোর্টেও দীর্ঘদিন কৌঁসুলির কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১০ সালে স্থায়ী বিচারপতির পদ পান।
বিচারপতি বিন্দল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হওয়ার পর থেকে তাঁর বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ থেকে নানা ধরনের আপত্তি উঠছিল। রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অশোক দেব বিচারপতি বিন্দলের বদলি চেয়ে দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। নারদ স্টিং অপারেশনে সংক্রান্ত মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দল যে-ভাবে এক পক্ষের বক্তব্য শুনে নিম্ন আদালতের জামিন প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছিলেন, তা নিয়েও আইন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনাচক্রে তার পরেই কলকাতা হাই কোর্টের ‘হাস্যকর কাজকর্মে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে’ জানিয়ে অন্যান্য বিচারপতিকে চিঠি দেন হাই কোর্টেরই এক বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy