নাম না করে শাসকদলকে শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মান্থা। — ফাইল ছবি।
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শাসকদলের রাজনৈতিক নেতা। এই প্রসঙ্গে শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, ‘‘নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তা হলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না! বা বুঝেও সেটাই করেই চলেছেন ইচ্ছাকৃত ভাবে। আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।’’
কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা সিট গঠনের নির্দেশ দেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করতে পারছে না। ‘চাপ’-এর মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। হাই কোর্টের সিট গঠনের এই নির্দেশের সমালোচনা করতে গিয়ে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে এক রাজনৈতিক নেতা প্রশ্ন তোলেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বিচারপতি মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করা উচিত।
এর পরেই আদালতের নির্দেশ নিয়ে শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেয় বিচারপতি। বিচারপতি মান্থা ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদা ভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। এই তিন জনেরই অতীতে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। সেই নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে, প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার ইতিহাসের জন্যই কি এই তিন জনকে সিটে রাখা হয়েছে? না কি পুরো ঘটনাই কাকতালীয়? তৃণমূল বিষয়টিতে কাকতালীয় মনে করেনি। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়িয়াছিল?’’ তার পরেই অবশ্য কুণাল বলেছেন, ‘‘এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য এবং স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন! সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?’’
কুণালের এই মন্তব্য নিয়েই বিচারপতি মান্থা শুক্রবার শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দিয়েছেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। তবে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জন্যই পাল্টা মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। আলাদা ভাবে মামলা করার কথাও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy