Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Egra Blast

‘হে ভগবান! এটা কী হয়েছে! এত ছিন্নভিন্ন দেহ!’ এগরার বিস্ফোরণের ছবি দেখে শিউরে উঠলেন প্রধান বিচারপতি

এগরায় বিস্ফোরণের ছবি দেখে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিস্ফোরণের যা ভয়াবহতা, তাতে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজুর কারণ রয়েছে।

image of egra blast

এগরা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৪:১৩
Share: Save:

এগরায় বিস্ফোরণের ছবি দেখে শিউরে উঠলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিস্ফোরণের যা ‘ভয়াবহতা’, তাতে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি) এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে আইন মেনে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-ও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বৃহস্পতিবার এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। আহত বেশ কয়েক জন। সেই ঘটনার ছবি দেখে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, ‘‘হে ভগবান! কী হয়েছে! মৃতদেহগুলি একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।’’ তার পরেই হাই কোর্ট এই বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে। তাদের পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এবং মৃত্যু দেখে মনে হচ্ছে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যে হেতু তদন্ত শুরু হয়েছে, তাই সিআইডি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আবার বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে আইন মোতাবেক এনআইএর-ও তদন্ত করবার অধিকার থাকবে।’’

রাজ্য বিজেপি আগেই এগরার ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও একই দাবি জানান। সেই দাবি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থও হন। তাঁর মামলা করার আবেদন বুধবার মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়নি। যদিও প্রশাসনের বক্তব্য, বিস্ফোরক ব্যবহার ও তার ফলে পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি— ভারতীয় দণ্ডবিধির এ সব ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

বিজেপি পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষয়টি লঘু করে দেখানোর অভিযোগ তুললেও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিস্ফোরণের তথ্যপ্রমাণ-সহ ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার আগে বিস্ফোরক আইনের ধারা দিলে মামলা দুর্বল হয়ে যাওয়ারই আশঙ্কা থাকে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিস্ফোরণের যা ভয়াবহতা, তাতে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির তোলা এনআইএ তদন্তের দাবিতে আপত্তি জানাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দিন, অর্থাৎ, মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, এনআইএ এই ঘটনায় তদন্ত করলে তাঁর আপত্তি নেই। পাশাপাশি, এটা বিরোধীদের একটা ‘ফর্মুলা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকার একটি বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy