কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণসামগ্রী দিতে যেতে পারবেন সিপিএম নেতারা। সোমবার সেই অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পাঁচ জন গ্রামে যেতে পারবেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি, আদালত এ-ও জানিয়েছে, ত্রাণ দিতে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান, সভা করা এবং প্ল্যাকার্ড দেখানো যাবে না। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রবিবার দলুয়াখাকিতে ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যেরা। গ্রামে ঢোকার আগে গুদামের হাট মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, তখন ঘটনাস্থলে কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না। সোমবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, সিপিএমের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারকে।
গত সোমবার জয়নগরে সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এর পরেই সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ওই নেতা খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের দিকে। যদিও সিপিএম সেই অভিযোগ মানেনি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, দলুয়াখাকিতে সিপিএম সমর্থকদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সেই গ্রামেই ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সিপিএম নেতারা। আটকানো হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই মামলাতেই হাই কোর্ট জানাল, দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে পারবেন সিপিএম নেতারা। তবে রাজনৈতিক সভা করা যাবে না। স্লোগান বা প্ল্যাকার্ড দেখানো যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy