পরীক্ষার চার দিন আগেও অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি মাধ্যমিকের অনেক পড়ুয়া! স্কুলের ভুলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, স্কুলের ভুলেই অ্যাডমিট কার্ড পাচ্ছে না পরীক্ষার্থীরা। ফলে স্কুলকেই তার দায় নিতে হবে। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘প্রধানশিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে আসতে হবে।’’ এর জন্য ৮-১০টি স্কুলকে জরিমানাও করেছেন বিচারপতি।
আদালত সূত্রে খবর, হাওড়ার একটি স্কুলে একই নামের দুই পড়ুয়া রয়েছে। তার মধ্যে এক জন মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। অথচ অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছে অন্য পড়ুয়া। স্কুলের ভুলেই ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড পায়নি, এই অভিযোগে মামলা হয় উচ্চ আদালতে। হুগলি জেলারও কয়েকটি স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড পায়নি কয়েক জন পরীক্ষার্থী। ওই জেলারও তিন পরীক্ষার্থী মামলা করে হাই কোর্টে। একই অভিযোগ ওঠে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি স্কুলেও। অনেক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের জন্য স্কুলের তরফে কোনও আবেদন করা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে নানা জায়গায়। বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলাগুলি শোনেন বিচারপতি বসু। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, গোপা বিশ্বাস, শীর্ষেন্দু সিংহ রায়।
হাই কোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পোর্টাল খুলে দিতে হবে। যাতে স্কুলগুলি পরীক্ষার্থীদের তথ্য আপলোড করতে পারে। শনিবারের ওই পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পর্ষদকে। বৃহস্পতিবার পর্ষদকে ওই মর্মে নোটিসও জারি করতে বলেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি মন্তব্য, ‘‘কোনও পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ডের জন্য পরীক্ষা দিতে পারেননি, এমনটা যেন না হয়।’’ অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ভুল করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ১০টি স্কুলকে জরিমানা করেছেন বিচারপতি বসু।
আদালতের নির্দেশের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আমরা অনলাইন পোর্টাল ওপেন করছি। ওখানে যত দিন সময় দেওয়া আছে, তার মধ্যেই স্কুলগুলিকে আদালতের নির্দেশ মেনে সমস্ত কিছু শেষ করতে হবে।’’