Advertisement
E-Paper

সুকান্ত-সচিবের সম্পত্তি প্রশ্নে, কটাক্ষ তৃণমূলের

২০১৯ সালে বালুরঘাট আসন থেকে জিতে সাংসদ হন সুকান্ত। তখন থেকে অজয় সুকান্তের সচিব হিসাবে কাজ করেন। অজয় জানান, ২০১৮-২০১৯ সালে বালুরঘাট শহরে সাড়ে ছয় শতক জমি কিনে বাড়ি করেন।

সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৭:০৯
Share
Save

বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব অজয় সরকারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতার আইনজীবী শান্তনু সিংহ। তিনি ‘হিন্দু সংহতি’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। সংগঠনটি মূলত আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ) প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরাই চালান। অজয়ের সম্পত্তির খতিয়ান সম্প্রতি তিনি সমাজমাধ্যমে ‘পোস্ট’ করায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। শান্তনুর দাবি, অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। সুকান্তর পাল্টা দাবি, তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে বদনাম করতে এই পদক্ষেপ। অজয়ের বক্তব্য, সুকান্তের উত্থানের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি-বৃদ্ধির সম্পর্ক নেই। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

২০১৯ সালে বালুরঘাট আসন থেকে জিতে সাংসদ হন সুকান্ত। তখন থেকে অজয় সুকান্তের সচিব হিসাবে কাজ করেন। অজয় জানান, ২০১৮-২০১৯ সালে বালুরঘাট শহরে সাড়ে ছয় শতক জমি কিনে বাড়ি করেন। বালুরঘাট শহর লাগোয়া গ্রামে ২০২২ সালে রাস্তার ধারে প্রায় দুই বিঘা জমি কেনেন। সে বছরেই অন্য গ্রামে স্ত্রীর নামে কয়েক শতক জমি কেনেন। ২০২৪ সালে বালুরঘাট শহরে ফ্ল্যাটও কেনেন। অজয়ের দাবি, প্রায় ৩২ লক্ষ টাকার সেই ফ্ল্যাট ঋণ করে কেনা। ২০১৩ থেকে প্রতি বছর আয়কর ‘রিটার্ন’ও জমা দিয়েছেন।

সুকান্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরে অজয় তাঁর অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। মাসে তাঁর বেতন সরকারি ভাবে সওয়া লক্ষ টাকার কিছু বেশি। যে গাড়িতে চড়েন, তা তাঁর নিজস্ব নয় বলে অজয়ের দাবি। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে।” ‘হিন্দু সংহতি’র সদস্যদের দাবি, সঙ্ঘ পরিবারের আদর্শ মেনে চললেও তাঁদের সঙ্গে আরএসএসের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শান্তনু বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, ব্যক্তিগত সচিবের সম্পত্তি বাড়তে থাকার অর্থ, পরোক্ষে সুকান্তের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়া। দলের উচিত, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা।”

সুকান্ত বলেন, “অজয়ের সম্পত্তি তাঁর খেটে অর্জন করা টাকায় কেনা। আমাকে বদনাম করতেই তাঁকে ধরে টানাটানি চলছে।” জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নিয়মিত কটূ কথা বলেন সুকান্ত। এখন তাঁরই ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ করছেন ওঁদেরই শিবিরের লোকজন। সুকান্ত এ বার কী বলেন, দেখা যাক।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sukanta Majumdar BJP Calcutta High Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}