—প্রতীকী ছবি।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ চার প্রতিনিধির গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তোলেন, যদি খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তা হলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন তাঁদের মুক্তি দেওয়া হল? ‘জঘন্যতম অপরাধে’ কেন এমন পদক্ষেপ পুলিশের? চার জনের গ্রেফতারি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, তথ্য তলব করে রাজ্যকে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
নবান্ন অভিযানের আগের রাতে, গত ২৭ অগস্ট রাত ১২টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। কিন্তু পরের দিনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয় হাই কোর্টে। রাজ্য জানায়, পুলিশ জানতে পেরেছিল, হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। গোলমাল পাকানো, এমনকি খুনের ছকও কষা হয়েছিল। গোপন সূত্র মারফত এই তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে।
বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন তুলে জানতে চান, পুলিশ সেই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছিল? কী অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ? অভিযুক্তেরা কি অতীতে কোনও অপরাধ করেছেন? যদি তা থেকে থাকে, তা হলে পুলিশ কোন যুক্তিতে তাঁদের ছেড়ে দেয়? আর যে পুলিশ তথ্য পেয়েছিল, তা যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তা হলে ২৪ ঘণ্টা কেন আটকে রাখা হল? বিচারপতি মন্তব্য, ‘‘কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল পুলিশ? আর কিসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল ? এ ভাবে চললে তো পুলিশ যাঁকে খুশি গ্রেফতার করবে আর ২৪ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেবে?’’ মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy