কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
কাঁথি পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত রাজ্যের করা মামলার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ এফআইআর দায়েরের পিছনে কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কি না, তা খুঁজে পেতে সিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাকারী রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে রাজ্য, তিনি এখন আদালতে এসে বলছেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করেছেন। ফলে রাজ্যের করা এই এফআইআর নিয়ে আদালতেরও সন্দেহ রয়েছে। এই এফআইআর সাজানো কি না তা তদন্ত করে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।
গত বছর ২৮ ডিসেম্বর ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিকাদার রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ। এর পর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভায় টেন্ডার সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত রামচন্দ্র। হাই কোর্টে তিনি জানান, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। এখন যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো।
রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে বুধবার আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তাঁর দাবি, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে এখনই তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পরই আদালত সাজানো এফআইআর-এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। অন্য দিকে, বুধবার থেকেই কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, কাকলি এবং তাঁর পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির বাইরে গেলে কাকলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy