কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
শুধু স্কুলে শিক্ষক বা কর্মী নিয়োগে নয়, রাজ্যে ‘বন-সহায়ক’ পদে নিয়োগেও অসঙ্গতির ইঙ্গিত আছে বলে কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ। এই অবস্থায় ওই পদে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর-সহ মেধা-তালিকা তলব করেছেন বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, ২০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে কোর্টে ওই মেধা-তালিকা জমা দিতে হবে হলফনামা আকারে। তার পরে মামলাকারীরা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পাল্টা হলফনামা দেবেন। ১ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে।
রাজ্যে স্কুল শিক্ষক-সহ বিভিন্ন ধরনের চাকরিতে নিয়োগের গরমিল নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে যে-সব নথি জমা দেওয়া হয়েছে, তা দেখেই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগে অসঙ্গতির ইঙ্গিত রয়েছে।
সৈয়দ মহম্মদ আলি-সহ এক দল চাকরিপ্রার্থী বন-সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে মামলা করেছেন। তাঁদের আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় কোর্টে জানান, কোনও মেধা-তালিকা প্রকাশ না-করেই বন-সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। শমীকের যুক্তি, চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর যে-হেতু প্রকাশ করা হয়নি, তাই মামলাকারী কর্মপ্রার্থীরা যে চাকরি পাওয়ার যোগ্য নন, রাজ্য সরকারের সেই যুক্তিও ধোপে টেকে না।
রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলায় জমা দেওয়া হলফনামা নিয়েও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, বীরভূম, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানে ১৭০টি শূন্য পদে নিয়োগ হয়েছে। পরবর্তী কালে সরকার ফের হলফনামা দিয়ে জানায়, পূরণ হয়েছে ১৬১টি শূন্য পদ। দু’বার দু’ধরনের হলফনামা দেখেই কার্যত সন্দেহ প্রকাশ করেছে কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy