—ফাইল চিত্র।
সারদা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেলেন রাজীব কুমার। বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়ে দেয়, রাজীবকে এখনই সিবিআই হেফাজতে রেখে জেরা করার প্রয়োজন নেই। তাঁকে তলব করতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে। রাজীবকেও তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজীবকে এ বার নিম্ন আদালতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দু’জন জামিনদারের বিনিময়ে আগাম জামিন নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে এত দিন ধরে রাজীবের সঙ্গে সিবিআইয়ের যে লুকোচুরি খেলা চলছিল, আপাতত তার অবসান হবে বলে মনে করছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল।
তবে সিবিআইয়ের হাত থেকে রাজীব পুরোপুরি নিস্তার পাবেন কি না, সে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। রোজ ভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই তিন বার নোটিস দিয়ে তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। প্রথম বার তিনি যান। শেষ নোটিসের পর তিনি চিঠি দিয়ে জানান যে, তাঁর ছুটির মেয়াদ বেড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে রোজ ভ্যালির নোটিস নিয়েই বার বার রাজীবের বাসভবনে হানা দিয়েছেন সিবিআই অফিসারেরা। রাজীব জনসমক্ষে এলে ফের তাঁকে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে ডাকা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
কবে প্রকাশ্যে আসতে পারেন রাজীব? আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, আজ, গাঁধীজির জন্মদিন উপলক্ষে আদালত বন্ধ। ফলে জামিন নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাজীব আলিপুর আদালতে যেতে পারেন। আইনজীবীদের অন্য একটি অংশ বলছে, সিবিআইয়ের এফআইআর-এ রাজীবের নাম নেই। তাই এ ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিন নিতে না-ও নিতে হতে পারে।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে সিবিআই। দিল্লির সদর দফতরে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। সংস্থার আইনজীবীদের অভিযোগ, রাজীবের বিরুদ্ধে নথিপত্র নষ্ট ও গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়াও বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তদন্তে অসহযোগিতাই নয়, হাইকোর্ট তাঁর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পরে বেপাত্তাও হয়ে যান রাজীব। ফলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলেই মনে করছে সিবিআই।
রাজীবের জামিন প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘দিদি গিয়েছিলেন মোদীর কাছে। তিনি আবার দিদিকে অমিত শাহের কাছে পাঠিয়েছিলেন। শাহ বলেছিলেন, টেনশনের কিছু নেই। এখন দিদির বিশ্বস্ত রাজীব জামিন পেয়ে গেলেন!’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেওয়া রাজীব কুমারের আগাম জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। খুবই অম্লমধুর সম্পর্ক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy