যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাবে তাদের নিয়ম পালন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। —ফাইল চিত্র।
বহিরাগতরা পুজো করতে পারবেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা নিয়ে এক ছাত্রের করা মামলায় মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর কর্মী-সমর্থকেরা এ বছর দু’টি সরস্বতী পুজো করছেন। টিএমসিপি যাদবপুরে তেমন শক্তিশালী নয়। তার পরেও তাদের এই দলাদলিতে বিস্মিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে। ক্যাম্পাসের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে আয়োজিত পুজোর আয়োজক টিএমসিপি নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক। গান্ধী ভবনে আয়োজিত পুজোর উদ্যোক্তা টিএমসিপি ইউনিটের রাজন্যা হালদার। এ বিষয়ে সঞ্জীব বলেন, “কোনও বহিরাগত ছাত্র বা ছাত্রী আমাদের সংগঠনের নাম নিয়ে, পোস্টার চুরি করে কোথাও যদি পুজো করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি সেই দায়িত্ব নেবে না।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ওই পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে, সেই দায়িত্বও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেবে না।’’ অন্য দিকে রাজন্যা বলেন, ‘‘আমি প্রাক্তন ছাত্রী হয়ে গেলেও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এখনও যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী আছি। দলের সুপ্রিমোর নির্দেশেই এই পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছি।’’
এই দুই পুজোর অনুমতি কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু রবিবার জানান, এ বছর সরস্বতী পুজো যাঁরা করছেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-ও পুজো করার অনুমতি চেয়েছে।
এর পরেই মঙ্গলবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন জ্যোতির্ময় সেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। দুপুরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে মামলাটি। শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনুদানও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে উপস্থিত আইনজীবী এই দাবির বিরোধিতা করে কোর্টে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রী এবং কর্মীদের পুজো করার অনুমতি দেয়। বহিরাগত কাউকে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বেশ খানিক ক্ষণ শুনানি চলার পর বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নন এমন কোনও ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। যাদবপুর কর্তৃপক্ষকেও কঠোর ভাবে তাদের নিয়ম পালন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy