নদীর তীরে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
নদীর তীর, চর বা নদীর খাতে ইটভাটা চলতে দেওয়া যাবে না। রাজ্যের নদীচরে থাকা সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার আইনজীবী তুষার সিংহ মহাপাত্র জানান, শুধু ইটভাটা বন্ধ নয়, সেগুলি ভাঙার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য চাইলে ভাঙার খরচ ওই ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে নিতে পারবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকে রূপনারায়ণ নদীর চরে বেআইনি ভাবে ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে— এই অভিযোগ তুলে গত বছর হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসী উত্তমকুমার পাল। তাঁর দাবি, নদীর পাড় বরাবর এলাকার জমি সরকারের। সেই জায়গায় নিয়ম না মেনে বেআইনি ভাবে ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে পরিবেশ ও নদীর ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকালে বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এই মামলায় গত বছর এপ্রিলে আদালত নদীর খাত, তীর, চর বা সংলগ্ন পলিমিশ্রিত জমিতে ইটভাটা বা ইটের পাঁজা তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বলা হয় রাজ্যের ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরকে।
হাই কোর্টের নির্দেশে সক্রিয় হয় রাজ্য। মহিষাদলের যে ইটভাটা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে হাই কোর্ট নদীর পাশে রয়েছে এমন ইটভাটার তালিকা চায় রাজ্যের কাছে। দেখা যায়, এমন অনেক জায়গাতেই নদীর চর বা খাতে ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলে, ওই জমি সরকারের অধীনে থাকার কথা। সেখানে কেন বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে? সরকারই বা নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করছে না কেন?
এর পরই আদালত রাজ্যের নদী চরে থাকা সব ইটভাটা বন্ধ এবং ভাঙার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে বলে আদালতে জানায় রাজ্য। হাই কোর্টের নির্দেশ, রাজ্য চাইলে ভাঙার টাকা ওই ইটভাটার কাছ থেকে নিতে পারবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy