—ফাইল চিত্র
কল্যাণী এমসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে করা মামলা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই হাসপাতালে বেআইনি ভাবে বিজেপি নেতাদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত জানান, জনপ্রতিনিধি বা সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু করতে হলে সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এই ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পুলিশ অনুমতি না নিয়েই ওই ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমসে নিজের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়েহাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
কল্যাণী এমসে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক যুবক। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় তখন মামলা রুজু হয়। তাতে অনেকের নাম জড়িয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সুভাস ও নীলাদ্রিশেখর ছাড়াও ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরের কন্যা মৈত্রী দানা, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপা বিশ্বাস। বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষ এবং নীলাদ্রিশেখরের মেয়ে মৈত্রী এমসে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, দুই বিধায়ক নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। ওই মামলার তদন্তভার সিআইডি নেয়। এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে চার বিজেপি বিধায়ক-সহ আট জনের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy