যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে অভিযুক্ত ছাত্রকে স্বস্তি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, এফআইআরে ওই ছাত্রের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় তিনি ছাত্র হলেও আদালত তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। বিচারপতির বক্তব্য, অভিযুক্ত হিসাবে নাম থাকা ওই ছাত্রকে স্বস্তি দিলে খারাপ বার্তা যেতে পারে। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন সব পক্ষের কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গন্ডগোলের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের পরেও পুলিশ তলব করছে। বার বার ডেকে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন যাদবপুরের পড়ুয়া উদ্দীপন কুন্ডু। বুধবার তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, শুধু ডেকে পাঠানোই নয়, ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনও চেয়েছে পুলিশ। আইনজীবীর সওয়াল, মোবাইল ব্যক্তিগত জিনিস। সুপ্রিম কোর্ট মোবাইলকে ব্যক্তিগত ডিভাইস হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তা হলে কেন মোবাইল দিতে হবে? পুলিশ হেনস্থা করতেই ওই পদক্ষেপ করছে। এক জন ছাত্রের সঙ্গে পুলিশ কি এমন আচরণ করতে পারে?
তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছেন, ওই ছাত্রকে আর যেন মোবাইল না কিনতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। আদালত জানিয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে উদ্দীপনের মোবাইল নিলেও পুলিশকে তা ফেরত দিতে হবে।