রাজ্যপালের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) সন্দীপকুমার সিংহের বিরুদ্ধে তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। অন্য দিকে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধানে যা উঠে এসেছে, তার রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি জানান, ১০ জুন অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। ১৫ মে রাজ্যপালের ওএসডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। সন্দীপের বিরুদ্ধে আপাতত তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা। তিনি রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যে দিন তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল রাজভবনে, সে দিন তাঁকে আটকে রেখেছিলেন তিন কর্মী। তাঁরা তাঁকে রাজভবন থেকে বার হতে দিচ্ছিলেন না। এই মর্মে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন এফআইআর দায়ের করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। এফআইআরে ওএসডি-সহ তিন জন কর্মীর নাম ছিল। ওএসডি সন্দীপ কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। যে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল ভারতীয় সংবিধানের রক্ষাকবচ পান। সংবিধান অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি তদন্ত করা যায় না। তাই মহিলার ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে পারেনি পুলিশ। তবে অনুসন্ধান চলছে। রাজভবনের সে দিনের সিসিটিভি ফুটেজও হাতে পেয়েছে পুলিশ। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মহিলার অভিযোগ, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। মহিলা সেখান থেকে বেরিয়ে প্রথমে পুলিশের আউটপোস্টে যান। পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের আউটপোস্টে যাওয়ার সময়ে রাজভবনে তাঁকে কয়েক জন কর্মী বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্যপাল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর রাজভবনে পুলিশের প্রবেশও নিষিদ্ধ করে দেন তিনি। রাজভবনের সকল কর্মচারীকে জানিয়ে দেন, পুলিশ বা অন্য কারও কাছে এই সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে কোনও কথা বলা যাবে না।