এ বার সিবিআইয়ের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। — ফাইল ছবি।
এ বার সিবিআইয়ের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিবিআই ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু জানান, সিবিআইয়ের ভূমিকাকে তিনি সন্দেহের চোখেই দেখছেন।
মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বসুর এজলাসে। সেখানে তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, আপনারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছেন।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিদের জায়গা করে দিতে হবে।’’
নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী যে সওয়াল করছেন, তার সঙ্গে ওই রিপোর্টের কোনও মিল খুঁজে পাননি বিচারপতি বসু। এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল করা উচিত নয়। সিবিআইয়ের তৈরি করা রিপোর্টে যা রয়েছে, তার থেকে আইনজীবীর কাছে থাকা রিপোর্টে আরও বেশি তথ্য আসছে। এটা কী ভাবে সম্ভব?’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। কাগজপত্র-সহ সমস্ত তথ্য তিন বার যাচাই করে পাঠানো উচিত।’’ আগামী বৃহস্পতিবার ফের সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকারও সমালোচনা করেছে আদালত। তাদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনারা যে ভাবে যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে কেউ ঠকিয়ে চলে গেলেও, চুপ করে বসে থাকবেন। চুপ থাকবেন তো? এত ভয় কেন? যা হয়েছে, মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে বলুন, অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দিতে।’’
মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের এক আধিকারিককে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এক তদন্তকারী অফিসারকে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই তদন্তকারী কর্তা যেন কোনও তদন্তের ফাইল স্পর্শ করতে না পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy