এক কথায়, সিএনজির সরবরাহের পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। ফাইল চিত্র।
কলকাতা-সহ রাজ্যের জেলাগুলিতে বাড়ানো হোক কম্প্রেসিভ ন্যাচরাল গ্যাস (সিএনজি)-এর পাম্পের সংখ্যা। পরিবহণ দফতরের কাছে এমনটাই দাবি জানাল বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের ময়দান টেন্টে বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক বসেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ দফতরের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকেই বিকল্প জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ রোধে রাজ্য সরকার বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সিএনজি চালু করার পক্ষপাতী। সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেস, ট্রাক ফেডারেশন, অ্যাপ ক্যাব অপারেটার্স গিল্ড, পুলকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির মতো সংগঠনগুলি তাদের দাবিদাওয়ার কথা জানিয়েছে। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিভিন্ন সিএনজি রিফিলিং সংস্থার শীর্ষ কর্তারাও।
সরকারি পরিবহণের পাশাপাশি, বেসরকারি পরিবহণও যাতে সিএনজি-নির্ভর হয়, সে বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই কাজ করছেন তাঁরা। কিন্তু বৈঠকে বেসরকারি বাস মালিকরা অভিযোগ করেন, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে তাঁরা সরকারের নির্দেশ মেনে সিএনজি বাসই শহর ও জেলাগুলিতে চালাতে চান। কিন্তু সিএনজি পাম্পের অপ্রতুলতার কারণেই বেসরকারি বাস মালিকরা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কারণ, শহর কলকাতা তো বটেই শহরতলি কিংবা জেলার পাম্পগুলিতে এখনও সিএনজি পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে পাম্প থাকলেও, সিএনজি ফুরিয়ে গেলে পাম্পেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই অনেক ক্ষেত্রে বাস মালিকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সঙ্গে সিএনজি জ্বালানির দাম প্রায় ডিজেলের সমতূল্য হয়ে যাচ্ছে। তাই বিকল্প জ্বালানিতে বাস চালিয়ে আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে না। এমনকি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ট্রাক ও ট্যাক্সি চালকদেরও। এক কথায়, সিএনজির সরবরাহের পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
পরিবহণ সংগঠনগুলির এহেন অভিযোগের কথা শুনে মন্ত্রী আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন। সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের টিটো সাহা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি পরিবহণ দফতরকে। কারণ যে বিকল্প পথে আমাদের বাস চালানোর নির্দেশ পরিবহণ দফতর দিয়েছিল, সেই নির্দেশ মেনেই আমরা বাস চালিয়েছি। কিন্তু তাতে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন আমরা হয়েছি, মন্ত্রী তার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, আমরা পরিবহণ সংগঠনগুলির কথা শুনেছি। পরে আমরা দফতরের অভ্যন্তরে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে মন্ত্রীকে জানাব। তার পরেই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে জানানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy